Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শোক দখলের লড়াই গ্রামে

বৃহস্পতিবার সকলের আগে আফরাজুলের বাড়ি ঘুরে গিয়েছেন সিপিএম নেতা অম্বর মিত্র। এ ছাড়াও আফরাজুলকে সান্ত্বনা দিতে এসেছিলেন বাম নেতা নইমুদ্দিন শেখ, প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ ঘোষেরা। শুক্রবার ছিল তৃণমূল আর কংগ্রেসের দখলে।

হাহাকার: আফরাজুলের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছে। নিজস্ব চিত্র

হাহাকার: আফরাজুলের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েছে। নিজস্ব চিত্র

জয়ন্ত সেন
সৈয়দপুর, (মালদহ) শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৩:০৬
Share: Save:

কখনও জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপার, কখনও কংগ্রেস-তৃণমূলের নেতানেত্রীরা। শুক্রবার দিনভর এমনই ভিড় ছিল কালিয়াচকের প্রত্যন্ত গ্রাম সৈয়দপুরে।

বৃহস্পতিবার সকলের আগে আফরাজুলের বাড়ি ঘুরে গিয়েছেন সিপিএম নেতা অম্বর মিত্র। এ ছাড়াও আফরাজুলকে সান্ত্বনা দিতে এসেছিলেন বাম নেতা নইমুদ্দিন শেখ, প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বনাথ ঘোষেরা। শুক্রবার ছিল তৃণমূল আর কংগ্রেসের দখলে। শনিবারও যে তার অন্যথা হবে না, সেটাও আগেভাগে ঘোষণা করে দিল দুই দল।

তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে এ দিন আফরাজুলের স্ত্রী গুলবাহার বিবির সঙ্গে দেখা করতে আসেন তৃণমূল জেলা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আবু নাসের খান চৌধুরী, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী এবং গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো চেকটি গুলবাহারের হাতে তুলে দেন জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি অম্লান ভাদুড়ি।

দলীয় সূত্রে খবর, শনিবার কলকাতা থেকে দলের রাজ্য নেতারা আসছেন। সেই দলে থাকছেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায় ও কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও শুভেন্দু অধিকারী।

তৃণমূল বা সিপিএমের থেকে পিছিয়ে থাকতে নারাজ কংগ্রেসও। বিকেলেই গুলবাহারের সঙ্গে দেখা করে আসেন এলাকার বিধায়ক ইশা খান চৌধুরী ও সাবিনা ইয়াসমিন, জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নরেন্দ্রনাথ তিওয়ারি। পরে ইশা সাহেব আশ্বাস দিয়ে বলেন, দোষী যাতে উপযুক্ত শাস্তি পায়, সে জন্য রাজস্থানের রাজসমুন্দ জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন।

আফরাজুলের দেহ যখন গ্রামে আসে, তখনও সেখানে উপস্থিত মোয়াজ্জেম, ইশা খানেরা। তত ক্ষণে কংগ্রেস জানিয়ে দিয়েছে, শনিবার সৈয়দপুরে আসবেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।

এ দিকে এ দিন ওই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মালদহ শহরে গাঁধীমূর্তির পাদদেশে মুখে কালো কাপড় বেঁধে মৌন অবস্থানে বসে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের নেতৃত্ব ও কর্মীরা। একই ভাবে ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রসেনজিৎ দাসের নেতৃত্বে তৃণমূলের কর্মীরা মোমবাতি জ্বালিয়ে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। মালদহ শহরে ১৩ ডিসেম্বর ধিক্কার মিছিলের ডাক দিয়েছে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের নেতৃত্ব।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Love Jihad Arfazul Political Leaders Family
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE