Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

প্রবল চাপে সর্বত্র তথ্য যাচাই যন্ত্র প্রায় স্তব্ধ

পোর্টালে তথ্য পরীক্ষা করতে গেলে মোবাইলে একটি ‘ওটিপি’ পাওয়ার কথা ভোটারের। কিন্তু এ দিন ওই পোর্টাল কার্যত কোনও কাজই করেনি। ফলে ‘ওটিপি’ মেলেনি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:০৩
Share: Save:

সময় যত গড়াচ্ছে, বেড়েই চলেছে ভিড়। তার প্রভাব পড়েছে যন্ত্রে। জট বাড়ছে তাতে। তার জেরে দেশ জুড়ে বুধবার প্রায় স্তব্ধ হয়ে যায় ভোটার-তথ্য যাচাই কর্মসূচি (ইভিপি)। ব্যতিক্রম হয়নি পশ্চিমবঙ্গেও।

ন্যাশনাল ভোটারস সার্ভিস পোর্টাল (https://www.nvsp.in) এবং ভোটার হেল্পলাইন অ্যাপের মাধ্যমে তথ্য যাচাইয়ের ব্যবস্থা হয়েছে। পোর্টালে তথ্য পরীক্ষা করতে গেলে মোবাইলে একটি ‘ওটিপি’ পাওয়ার কথা ভোটারের। কিন্তু এ দিন ওই পোর্টাল কার্যত কোনও কাজই করেনি। ফলে ‘ওটিপি’ মেলেনি। আমজনতার অভিযোগে জেরবার বিভিন্ন জেলার কর্মী-অফিসারেরা। অভিযোগ আসে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের (সিইও) কাছেও। নির্বাচন কমিশনের তৈরি ভোটার সহায়তা কেন্দ্রগুলিরও একই অবস্থা। বিকেলের পরে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয় বলে কমিশনের দাবি। কমিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘একসঙ্গে অসংখ্য মানুষ পোর্টালটি ব্যবহার করায় সার্ভারে চাপ পড়ছে। তবে চিন্তার কিছু নেই।’’ হেল্পলাইন অ্যাপের কাজও ‘ত্রুটিমুক্ত’ নয়, মেনে নিচ্ছেন কমিশনের কর্তারা।

তথ্য যাচাইয়ে ভোটার সমস্যায় পড়লেও তাঁর নাম কোনও অফিসার কলমের খোঁচায় ‘ইচ্ছামতো’ কেটে দিতে পারবেন না বলে জানাচ্ছে কমিশন। জানুয়ারিতে কমিশন জানায়, সাত নম্বর ফর্ম ছাড়া কোনও ভাবেই তালিকা থেকে নাম কাটা যাবে না। কোনও ভোটারের নামে সাত নম্বর ফর্ম জমা পড়লে তাঁকে শুনানিতে ডেকে নথিপত্র যাচাই করে নাম কাটার বিষয়টি চূড়ান্ত করতে হয়। কমিশনের এক কর্তা বলেন, ‘‘সংশ্লিষ্ট ভোটারকে নোটিস না-দিয়ে এবং শুনানি না-করে নাম বাদ দেওয়া যায় না।’’

গত ২৫ দিনে তথ্য যাচাইয়ে শীর্ষে থাকা পশ্চিমবঙ্গে ১.১৯ কোটি ভোটার ইভিপি-তে যোগ দিয়েছেন। দ্বিতীয় স্থানে উত্তরপ্রদেশ, সেখানে ১.১ কোটি ভোটার তথ্য যাচাই করেছেন। তৃতীয় স্থানে থাকা রাজস্থানে সংখ্যাটা ৭১ লক্ষ। দেশে ৪.৪১ কোটি ভোটার তথ্য যাচাই করেছেন। নদিয়ায় ৪১%, উত্তর ২৪ পরগনা ও উত্তর দিনাজপুর ৩১%, মুর্শিদাবাদে ২২% মালদহে ২০% এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ১৬% ভোটার তথ্য পরীক্ষা করেছেন।

কমিশনের তরফে এই তথ্য যাচাই কর্মসূচির সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১৫ অক্টোবর। ইতিমধ্যেই সেই সময়সীমা বাড়ানোর দাবি তুলেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। সেই দাবিকে মান্যতা দিয়ে নির্বাচন সদনে কমিশনের কর্তাদের কাছে বিষয়টি পৌঁছে দিয়েছেন সিইও-রা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

NSVP Voter Card EPIC Election Commission
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE