বার্তা: সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
পাশের জেলায় দু’দিন বাদেই আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগে শনিবার ঝাড়গ্রামে মিলল ‘জঙ্গলমহল রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ জনযুদ্ধ কমিটি’র নামাঙ্কিত একাধিক পোস্টার। কোনওটিতে লেখা, ‘বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের ভয় দেখিয়ে দলে টানার চেষ্টা করছে তৃণমূল। তাদের সাহায্য করছে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসন।’ কোনওটিতে লেখা, ‘বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসছে। জোর করে বিজেপিকে আটকানো যাবে না। জনগণ তার জবাব দেবে।’
শনিবার ঝাড়গ্রাম শহর থেকে সাত কিলোমিটার দূরে বাঁধগোড়া এলাকায় স্থানীয় পঞ্চায়েত অফিসের দেওয়ালে ও বাইসন মোড়ে কয়েকটি দোকানের দেওয়ালে ওই পোস্টার দেখা যায়। রাস্তাতেও কিছু পোস্টার ছড়ানো ছিল। পোস্টারে নাম রয়েছে প্রদীপ ডিহিদার, অরুণ ডিহিদার, শম্ভু মানা, হেমন্ত সিংহের। এঁদের বিনা দোষে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগের পাশাপাশি মামলা প্রত্যাহার করে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে জঙ্গলমহলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে পোস্টারে।
যে কায়দায় পোস্টার ছড়ানো হয়েছে, মাওবাদী পর্বে তা বারবার দেখেছে জঙ্গলমহল। মাওবাদী পোস্টার লেখা হত সাদা কাগজে লাল কালিতে। এ দিনের পোস্টারগুলি সব ক’টিই সাদা কাগজে কম্পিউটার প্রিন্টআউট। তৃণমূলের ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি অজিত মাইতির অভিযোগ, ‘‘মাওবাদীদের সঙ্গে আঁতাত করে বিজেপি অশান্তি ছড়াতে চাইছে।’’ অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির ঝাড়গ্রাম জেলা সভাপতি সুখময় শতপথী বলেন, ‘‘পোস্টারে যাঁদের নাম রয়েছে তাঁরা আমাদের কর্মী। কেউ কেউ পঞ্চায়েত ভোটে জিতেওছেন। মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর কথাও ঠিক। তবে বিজেপির তরফে এমন কমিটি গঠিত হয়নি। পোস্টার দেওয়ার তো প্রশ্নই নেই।’’ ঝাড়গ্রামের জেলা পুলিশ সুপার অমিত কুমার ভরত রাঠৌর জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy