বাজারে নামছে আলুর দর। নিজস্ব চিত্র
পাইকারি বাজারে গত কয়েক দিন ধরেই নামছে আলুর দর। বুধবারও সেই প্রবণতা। এই নিয়ে ৩ দিনে বস্তা (৫০ কিলোগ্রাম) প্রতি অন্তত ৩০০ টাকা কমেছে দাম। তার প্রভাব খুচরো বাজারেও পড়বে বলে মনে করছেন আলু ব্যবসায়ীরা।
বাজারে চিরকাল ‘সস্তা’ বলে পরিচিত আলু কিনতে ছেঁকা লাগছে ক্রেতাদের। এক সময় কিলোগ্রাম প্রতি আলুর দাম গিয়ে পৌঁছয় ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়। প্রায় অর্ধেক দামে আলু কিনতে ভিড় বাড়ছিল সুফল বাংলার স্টলে। টানা দু’মাস ধরে এই পরিস্থিতির পর অবশেষে নামছে আলুর দর। পাইকারি বাজারে গত ২ দিন আগে বস্তা প্রতি আলুর দাম ছিল ১ হাজার ৯০০ টাকা। বুধবার তা নেমেছে ১ হাজার ৬০০ টাকায়।
কী কারণে কমছে আলুর দাম? রাজ্যের প্রগতিশীল আলু ব্যাবসায়ী সংগঠনের সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘বিহার ওড়িশার মত রাজ্যে আলুর চাহিদা কমেছে। পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের নতুন আলু সারা দেশে রফতানি শুরু হয়েছে। ফলে বাইরে যে আলুর চাহিদা ছিল তা এখন আর নেই।’’ এর প্রভাব রাজ্যের বাজারে পড়েছে বলেই আলুর দাম কমেছে বলে লালুর মত। তাঁর দাবি, ‘‘কৃষকদের দিল্লি অভিযানের জেরে পঞ্জাবে আলু তোলার কাজ ব্যাহত হয়েছে। না হলে সেখানকার আলুও এ রাজ্যের বাজারে আরও বেশি করে চলে আসত। তা হলে আলুর দাম আরও কমত।’’
আরও পড়ুন: ‘কিছুই মেটেনি’! সৌগতকে কড়া বার্তা শুভেন্দুর, উগরে দিলেন ক্ষোভ
আরও পড়ুন: ‘প্রধানমন্ত্রী এলে তাঁকেও বহিরাগত বলা হয়’, বিতর্ক বাড়ালেন বৈশালী
আলুর দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রি কমেছিল। কিন্তু তা ফের এক ধাক্কায় অনেকটা নেমে আসায় বিক্রি বেড়েছে দাবি চুঁচুড়ার খড়ুয়াবাজারের আলু বিক্রেতা ঝন্টু পালের। একই কথা বলছেন আর এক আলু বিক্রেতা বাবুনি পাণ্ডা বলেন, ‘‘৩ দিন আগে আলু কিনছিলাম কিলোগ্রাম প্রতি ৪০ টাকা দরে। সেস জন্য আমাদেরও বিক্রি করতে হচ্ছিল বেশি দামে। তাই পরিমাণে কম আলু কিনছিলেন ক্রেতারা। এখন দাম কমায় ক্রেতাও বেশি পরিমাণে আলু কিনছেন।’’
চুঁচুড়ার রবীন্দ্রনগর বাজারের নিয়মিত ক্রেতা সোমনাথ ঘোষ বললেন, ‘‘এর আগে জ্যোতি আলুর দাম কিলোগ্রাম প্রতি ৪০ টাকা ছাড়িয়েছে এমন ঘটনা মনে পড়ছে না। আলু লাগে সব কিছুতেই। তাই দাম কমলে আমরাও একটু স্বস্তি পাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy