Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ভোল্টেজ বিভ্রাটের দাওয়াই সাবস্টেশন

রাজ্যের প্রায় সব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেলেও লো-ভোল্টেজের সমস্যা থেকেই গিয়েছে। এই সমস্যায় বাড়িতে আলো জ্বলে টিমটিম করে, পাখা ঘোরে ঢিমে গতিতে, টিভি ঝিরঝির করে। লো-ভেল্টেজের সমস্যায় সেচও মার খাচ্ছে বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জুন ২০১৭ ১৩:২০
Share: Save:

রাজ্যে লো-ভোল্টেজ এলাকা চিহ্নিত করে ফেলেছে বিদ্যুৎ দফতর। সেই অনুযায়ী তৈরি হয়েছে মানচিত্র। সমস্যা মেটাতে সাবস্টেশন বসানোর কাজও শুরু হয়েছে বলে মঙ্গলবার জানান বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আশ্বাস, দু’তিন বছরের মধ্যে রাজ্যের এই সমস্যা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে।

রাজ্যের প্রায় সব গ্রামে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেলেও লো-ভোল্টেজের সমস্যা থেকেই গিয়েছে। এই সমস্যায় বাড়িতে আলো জ্বলে টিমটিম করে, পাখা ঘোরে ঢিমে গতিতে, টিভি ঝিরঝির করে। লো-ভেল্টেজের সমস্যায় সেচও মার খাচ্ছে বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এই সব অভিযোগে সিলমোহর দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা প্রশাসনিক বৈঠকে লো-ভেল্টেজের কথা তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তার পরেই টনক নড়ে বিদ্যুৎকর্তাদের।

বিদ্যুৎমন্ত্রী জানান, রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে সম গুণমানের বিদ্যুৎ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, নদিয়া, মালদহে লো-ভোল্টেজের সমস্যা বেশি। কয়েকটি জেলায় কম হলেও এই সমস্যা রয়েছে।

শোভনদেববাবু জানান, দাওয়াই হিসেবে ১২৫টি নতুন সাবস্টেশন বসানো হচ্ছে। এর মধ্যে গত আড়াই বছরে ২২টি সাবস্টেশন তৈরি হয়েছে। ৭১টির কাজ চলছে। ধাপে ধাপে দু’তিন বছরে গোটা পরিকল্পনা রূপায়ণ করা হবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনাখালি, পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি এবং হাওড়ায় সাবস্টেশনের কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে ওই তিন জেলায় সমস্যা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ‘‘সকলের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। কিন্তু সাবস্টেশন বসাতে সময় লাগে,’’ বলেন শোভনদেববাবু।

লো-ভোল্টেজের সমস্যা থাকলেও রাজ্যে বিদ্যুতের সমস্যা নেই বলে দাবি করেন মন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, পরিকল্পিত লোডশেডিং বলে কিছু হয় না। তবে অনেক ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ চুরি হয়। কখনও হুকিং করে, কখনও দফতরের অনুমতি না-নিয়ে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে বছরে ক্ষতি হচ্ছে এক হাজার কোটি টাকা। সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে। ‘‘তারের উপরে এমন আচ্ছাদন দেওয়া হবে, যাতে হুকিং করা না-যায়। রাজ্যে মোট ৫০ হাজার কিলোমিটার আচ্ছাদনে মোড়া এরিয়াল বান্ডেলড (এবি) কেব্‌ল ব্যবহার করা হবে। এর ফলে হুকিং করে বিদ্যুৎ চুরি আটকানো সম্ভব হবে,’’ বলেন শোভনদেববাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE