Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শিক্ষা-ঘাটতি নিয়ে প্রতীচী রিপোর্টে প্রশ্ন

প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে প্রতীচী ইনস্টিটিউটের নতুন রিপোর্ট বলছে, ‘যোগাযোগ’ থাকলে পছন্দের জায়গায় পাঠানো হচ্ছে শিক্ষকদের। তাই  রাজ্যে কোথাও শিক্ষক-পিছু ছাত্রের সংখ্যা ১২, কোথাও ৪০।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ০৪:৪৪
Share: Save:

আইনের যা দাবি, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে তার চেয়ে বেশি। অথচ রাজ্যে বেড়েছে এক-শিক্ষক স্কুলের সংখ্যা। শিক্ষকের অভাবে খোঁড়াচ্ছে কুড়ি শতাংশ স্কুল। মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর দিনাজপুর এবং দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় শিক্ষকের ঘাটতি সর্বাধিক। কেন এই অসমতা? প্রাথমিক শিক্ষা বিষয়ে প্রতীচী ইনস্টিটিউটের নতুন রিপোর্ট বলছে, ‘যোগাযোগ’ থাকলে পছন্দের জায়গায় পাঠানো হচ্ছে শিক্ষকদের। তাই রাজ্যে কোথাও শিক্ষক-পিছু ছাত্রের সংখ্যা ১২, কোথাও ৪০।

প্রতীচীর সাম্প্রতিক প্রতিবেদনটি আজ, মঙ্গলবার কলকাতায় প্রকাশ করবেন অমর্ত্য সেন। ভূমিকায় তাঁর বক্তব্য, শিক্ষকদের মনোভাবে পরিবর্তন আনা নিশ্চয়ই জরুরি। কিন্তু একটি স্কুলকে বাস্তবিক শিশু-উপযোগী করতে গেলে যা যা দরকার, তার জোগানে ঘাটতি থেকে যাচ্ছে।

যেমন, প্রাক্-প্রাথমিক ক্লাস যুক্ত হয়েছে স্কুলে, কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ হয়নি। কচিকাঁচাদের সামলাতে নিয়োগ করতে হয় স্থানীয় ব্যক্তিকে। নিয়মিত স্কুল সাফ করার সামগ্রী, বিদ্যুতের বিল মেটানোর ব্যবস্থা করতে হয় শিক্ষকদের, চাঁদা তুলে।

যে বিষয়ে উদ্বেগ

• শিশুশিক্ষা কেন্দ্রগুলি কার্যত ধুঁকছে। এগুলোকে নিয়মিত স্কুলে পরিণত করা দরকার।

• প্রাথমিক স্কুল পরিদর্শক অকুলান। তিনটি পদের একটিই শূন্য। এক-এক জনের অধীনে ১০০র-ও বেশি স্কুল।

• প্রথম শ্রেণির পাঠ্য বইয়ের পাতার সংখ্যা প্রায় ৩৫০। তুলতেই হিমশিম খাচ্ছে খুদেরা।

মিড ডে মিলে যথাযথ খাবারের জন্য চাই মাথাপিছু দৈনিক সাত টাকা সতেরো পয়সা। সরকার দেয় চার টাকা তেরো পয়সা। ৩৭টি স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে রিপোর্টের বক্তব্য, বার্ষিক অনুদানের চেয়ে ৬৯ হাজার টাকা বাড়তি দরকার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE