স্মরণে: প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণা মাতাজির জন্মশতবার্ষিকীর সমাপ্তি অনুষ্ঠানে স্মরণিকা প্রকাশ করছেন শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদক প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা মাতাজি। রয়েছেন প্রব্রাজিকা ভাস্বরপ্রাণা (বাঁ দিকে) ও সাহিত্যিক হর্ষ দত্ত। শনিবার, মহাজাতি সদনে। ছবি: দেবস্মিতা ভট্টাচার্য
শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের তৃতীয় অধ্যক্ষা প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণা মাতাজির জন্মশতবার্ষিকী মহোৎসব পালিত হল এক বছর ধরে। শনিবার মহাজাতি সদনে ওই উৎসবের সমাপ্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল শ্রদ্ধাপ্রাণা মাতাজি জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটি।
২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর বাগবাজারের নিবেদিতা স্কুলে বিশেষ পুজোর মাধ্যমে সূচনা হয়েছিল উৎসবের। সারা বছর ধরে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে সেই উৎসব উদ্যাপিত হয়েছে। সারদা মঠের সন্ন্যাসিনী প্রব্রাজিকা পুণ্যপ্রাণা মাতাজির গান খুবই পছন্দ করতেন শ্রদ্ধাপ্রাণা মাতাজি। এ দিনের অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সঙ্গীতও পরিবেশন করেন পুণ্যপ্রাণা মাতাজি। অনুষ্ঠানে ‘তোমার আলোয়’ এবং ‘পাথেয়’ নামে দু’টি স্মরণিকার প্রকাশ করেন শ্রীসারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের সাধারণ সম্পাদক প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা মাতাজি।
এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রব্রাজিকা ভাস্বরপ্রাণা ও হর্ষ দত্ত। ‘শ্রী সারদা মঠের গুরু পরম্পরা’ বিষয়ক বক্তৃতায় প্রব্রাজিকা অমলপ্রাণা মাতাজি বলেন, ‘‘গুরু পরম্পরার উৎসস্থল হল শ্রীরামকৃষ্ণ ও মা সারদা। গুরুশক্তিই চিরকাল রামকৃষ্ণ সঙ্ঘকে রক্ষা করে আসছে।’’ তিনি জানান, শ্রদ্ধাপ্রাণা মাতাজি তাঁদের কাছে বড় দিদির মতো ছিলেন। তবে অধ্যক্ষা হওয়ার পরে তিনি হয়ে উঠেছিলেন মাতৃস্বরূপা। শ্রদ্ধাপ্রাণা মাতাজি কখনওই নিজের মমত্ব ও রসবোধকে বিসর্জন দেননি। দু’টিই সমান তালে চলত। তিনি বলতেন, সকলের মধ্যে মায়ের বিরাট শক্তি কাজ করছে। ‘অনন্তের পূজারী প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণা’ বিষয়ক বক্তৃতায় এমনই জানান হর্ষ দত্ত। এ দিন ‘অনন্তভাবময় শ্রীরামকৃষ্ণ’ বিষয়ে বক্তৃতা করেন ভাস্বরপ্রাণা মাতাজি।
জন্মশতবর্ষ উদ্যাপন কমিটির তরফে রামকৃষ্ণ সারদা মিশনের কান্তনগরে প্রাথমিক স্কুলের উন্নয়ন, নিবেদিতা স্কুলে প্রব্রাজিকা শ্রদ্ধাপ্রাণা মেমোরিয়াল হল নির্মাণ, সারদা মঠে প্রবীণ ও অসুস্থ সন্ন্যাসিনীদের জন্য নির্মীয়মাণ প্রব্রাজিকা ভারতীপ্রাণা ভবনে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম প্রদান, দিরাংয়ে আদিবাসী সম্প্রদায়ের চিকিৎসায় সহায়তা-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে ৫০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আর্থিক অনুদানও দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy