Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

পণের দাবিতে ‘খুন’ অন্তঃসত্ত্বা

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বধূ কাকলি রায়ের (১৯) বাপের বাড়ি খারিজা বেরুবাড়ি ১ পঞ্চায়েতের বদনিপাড়ায়৷

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:২৭
Share: Save:

পণের দাবিতে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা বধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে৷ বৃহস্পতিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির নগর বেরুবাড়ির লালবাজার পাড়ায়৷ মৃতার বাড়ির লোকেদের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করে অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ৷

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বধূ কাকলি রায়ের (১৯) বাপের বাড়ি খারিজা বেরুবাড়ি ১ পঞ্চায়েতের বদনিপাড়ায়৷ তাঁর বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, গত বছর মে মাসে নগর বেরুবাড়ির লালবাজার পাড়ার বিশ্বনাথ রায়ের সঙ্গে পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেন কাকলিদেবী৷ বাড়ির লোকেরা সেই বিয়ে মেনেও নেন৷ কিন্তু অভিযোগ, বিয়ের মাস দুয়েক পর থেকেই পণের জন্য কাকলির উপরে অত্যাচার শুরু করে তাঁর শ্বশুর বাড়ির লোকেরা৷

কাকলির বাবা দুর্যোধন রায়ের অভিযোগ, ‘‘মেয়ের স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি আমার থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য মেয়েকে চাপ দিত৷ না দিতে পারলেই ওর উপরে অমানসিক অত্যাচার করত ওরা৷ মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে যখন যতটা সম্ভব টাকা তুলে দিতাম ওর হাতে৷ কিছু দিন আগে জামাই একটি মোটরবাইক চায়

আমার কাছে৷ সেটাও দেব বলেছিলাম৷ কিন্তু তার পরেও ওরা মেয়েটাকে ছাড়ল না৷’’ মৃতার দাদা হরিকিশোর রায় বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বোন বাবাকে ফোন করে বলে, টাকার জন্য ওরা ওকে প্রচণ্ড মারছে৷ বাবাকে গিয়ে তাকে বাঁচাতে বলে বোন৷ আমরা সঙ্গে সঙ্গে ওর শ্বশুর বাড়িতে ছুটে যাই৷ কিন্তু গিয়ে শুনতে পাই, ওরা বোনকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে৷ সেখানে গিয়ে দেখি বোনের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে৷’’

মৃতার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে৷ দুর্যোধনবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমি নিশ্চিত মারধর করেই আমার মেয়েকে ওরা শ্বাসরোধ করে মেরে ফেলেছে৷’’ শুক্রবার দুপুরে জলপাইগুড়ি মহিলা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন তিনি৷ থানার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, ঘটনায় অভিযুক্ত বধূর স্বামী এবং শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক৷ তাদের খোঁজে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি শুরু হয়েছে৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE