Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

শূন্য আসন পূরণে প্রেসিডেন্সিতে ফের কাউন্সেলিং

এ বছর এখনও ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় গত বছরের তুলনায় শূন্য আসনের সংখ্যা বাড়বে না কমবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, শূন্যপদের ৮৪ শতাংশ সংরক্ষিত গোত্রের।

ফের কাউন্সেলিং প্রেসিডেন্সিতে।

ফের কাউন্সেলিং প্রেসিডেন্সিতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অগস্ট ২০১৮ ০৪:২৬
Share: Save:

প্রথম দফার কাউন্সেলিং শেষ। তার পরেও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরে ৩৫৫টি আসন শূন্য রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২৩ অগস্ট স্নাতকোত্তর স্তরের এবং ২৪ অগস্ট স্নাতক স্তরে দ্বিতীয় দফার কাউন্সেলিং হবে। গত বছর ভর্তি প্রক্রিয়া শেষের পর প্রেসিডেন্সিতে ৩০৫টি আসন ফাঁকা ছিল। এ বছর এখনও ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ না হওয়ায় গত বছরের তুলনায় শূন্য আসনের সংখ্যা বাড়বে না কমবে, তা এখনও নিশ্চিত করে বলা সম্ভব নয়। সূত্রের খবর, শূন্যপদের ৮৪ শতাংশ সংরক্ষিত গোত্রের।

প্রেসিডেন্সি নিয়ে বাঙালির গর্ব দীর্ঘদিনের। রাজ্যে পালাবদলের পর প্রেসি়ডেন্সিকে বিশ্ববিদ্যালয় তকমা দেওয়া হয়েছে। এ হেন প্রতিষ্ঠানে সাড়ে তিনশো আসন খালি থাকায় গত বছর প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রেসিডেন্সির আসন যাতে খালি না থাকে তা নিশ্চিত করতে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেন তিনি।

সূত্রের খবর, একই নির্দেশ প্রেসিডেন্সি কর্তৃপক্ষকে দেন শিক্ষামন্ত্রী। এ বছর তাই অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পরেই ভর্তি শুরু করেছিল প্রেসিডেন্সি। কিন্তু প্রথম দফার কাউন্সেলিংয়ের পরে যে ছবি উঠে এসেছে তা আশাব্যঞ্জক নয় বলেই শিক্ষা মহলের অভিমত।

স্নাতক স্তরে ২১৬টি আসন ফাঁকা। সব থেকে কম আসন পূরণ হয়েছে হিন্দিতে, ৩৪টি আসন খালি। ৩২টি শূন্য আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পদার্থবিদ্যা। দর্শন এবং রসায়নে ২৩টি, গণিতে ২০টি, অর্থনীতি বিভাগে ১৯টি আসন এখনও পূরণ হয়নি।

স্নাতকোত্তর স্তরে ১৩৯টি আসন ফাঁকা। এখানেও সব থেকে কম পূরণ হয়েছে হিন্দি বিভাগে। ২৭টি খালি আসন রয়েছে সেখানে। দর্শনে ২১টি, রাশিবিজ্ঞানে ১৯টি, রসায়নে ১৭টি আসন ফাঁকা রয়েছে। একমাত্র ভূতত্ত্বে সব আসন ভর্তি রয়েছে।

শনিবার প্রেসিডেন্সির ডিন অব সায়েন্স অরবিন্দ নায়েক জানান, দু’দফা কাউন্সেলিংয়ের আগে সংরক্ষিত আসনগুলিকে সাধারণ আসনে পরিবর্তিত করার নিয়ম নেই। তাঁর কথায়, ‘‘দ্বিতীয় দফা কাউন্সেলিংয়ের পরে আসন ফাঁকা থাকলে সংরক্ষিত আসনগুলিকে সাধারণ আসনে পরিবর্তিত করে তৃতীয় দফার (মপ আপ) কাউন্সেলিং করা হবে।’’

গত বছর পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, স্নাতক স্তরে তৃতীয় দফা পর্যন্ত কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করে আসন ভরানোর চেষ্টা করা হলেও তা সফল হয়নি। স্নাতকোত্তরের ক্ষেত্রে সেই চেষ্টাও করেননি কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের এসএফআই সমর্থক শুভজিৎ সরকারের দাবি, ‘‘যে করেই হোক, কর্তৃপক্ষকে আসন পূরণ করতে হবে।’’ গত বছর আসন ফাঁকা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে নালিশ ঠুকেছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী সংসদ। সংসদের সম্পাদক বিভাস চৌধুরী এ দিন বলেন, ‘‘সরকারের নির্দেশ মতো সব আসন পূরণের ব্যবস্থা করা হোক। প্রেসিডেন্সিতে আসন ফাঁকা পড়ে থাকছে এটা মেনে নেওয়া যায় না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE