Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

টেট ৩০শে, বাড়তি ট্রেনের আর্জি পর্ষদের

মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য। এ বার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-য় প্রার্থীদের জন্য বাড়তি ট্রেনের ব্যবস্থা করতে রেলের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেট হবে ৩০ অগস্ট।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০১৫ ০৩:০৩
Share: Save:

মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয় ছাত্রছাত্রীদের জন্য। এ বার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষা (টেট)-য় প্রার্থীদের জন্য বাড়তি ট্রেনের ব্যবস্থা করতে রেলের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। টেট হবে ৩০ অগস্ট।

গত বার টেট নিয়ে ব্যাপক গোলমাল হয়েছিল। প্রচণ্ড ভিড়ে অনেক প্রার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে হিমশিম খেয়ে যান। ভিড়ের চাপে ট্রেন থেকে পরীক্ষার্থীদের পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটে। এই অবস্থায় পর্ষদ-সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য জানান, এ বার পরীক্ষার দিন প্রার্থীরা যাতে যাতায়াতে কোনও রকম সমস্যায় না-পড়েন, সেই জন্য বাড়তি ট্রেন চালাতে আবেদন জানানো হয়েছে রেলের জেনারেল ম্যানেজারদের। এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২২ লক্ষ। এর মধ্যে ২০১৫ সালে নতুন আবেদনকারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে পাঁচ লক্ষ। পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবক মিলিয়ে অন্তত ৪০ লক্ষ মানুষ সে-দিনে পথে নামবেন বলে পর্ষদের হিসেব। তাঁদের চলাচল বিঘ্নহীন করার জন্যই বাড়তি ট্রেনের ব্যবস্থা করতে বলা হচ্ছে রেলকে।

৩০ অগস্ট রাজ্য জুড়ে ৫২০০টি পরীক্ষা কেন্দ্রে টেট নেওয়া হবে। পুরনো প্রার্থীদের পরীক্ষা দিতে হবে পুরনো কেন্দ্রেই। আর নতুন সব প্রার্থী যাতে নিজেদের জেলায় পরীক্ষা দিতে পারেন, পর্ষদ সেই ব্যবস্থাই করেছে। পরীক্ষার কেন্দ্র খুঁজতে প্রার্থীরা যাতে হয়রান না-হন, সেই জন্য ওয়েবসাইটে সেই সব কেন্দ্রের হদিস দেওয়া হচ্ছে। পর্ষদ-সভাপতি জানান, যে-সব পরীক্ষার্থী ২০১৫ সালে নতুন করে ফর্ম পূরণ করেছেন, তাঁরা সেই ফর্মের সঙ্গেই অ্যাডমিট কার্ড পেয়ে গিয়েছেন। তার নির্দিষ্ট জায়গায় পরীক্ষার্থীকে নিজের ছবি লাগাতে হবে। ওই অ্যাডমিট কার্ডে নয় সংখ্যার রোল নম্বর দেওয়া আছে। www.wbresults.nic.in ওয়েবসাইটে গিয়ে প্রার্থীরা সেই রোল নম্বর উল্লেখ করলেই নিজেদের পরীক্ষা কেন্দ্রের ঠিকানা পেয়ে যাবেন।

২০১২ সালের যে-সব পরীক্ষার্থীর অ্যাডমিট কার্ড রয়েছে, তাঁদের অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ নিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আগেই। সেই স্লিপে পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম-ঠিকানা দেওয়া আছে বলে জানান মানিকবাবু। পুরনো পরীক্ষা কেন্দ্রেই তাঁদের পরীক্ষা নেওয়া হবে। অ্যাকনলেজমেন্ট স্লিপ-সহ অ্যাডমিট কার্ড এবং তার দু’টি প্রতিলিপি নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে। একটি প্রতিলিপি পরীক্ষা কেন্দ্রে জমা নেওয়া হবে। অন্যটি দেওয়া হবে পরীক্ষার্থীকে। প্রতিলিপি ছাড়া কেউ পরীক্ষায় বসতে পারবেন না বলে জানিয়ে দেন পর্ষদ-সভাপতি।

যাঁরা ২০১৪ সালে ব্যাঙ্কের চালান নিয়েছিলেন, তাঁরা আগেই অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে নিয়েছেন। সেই আসল অ্যাডমিট কার্ড এবং তার প্রতিলিপির উপরে নিজেদের ছবি লাগিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে হবে। সেই অ্যাডমিট কার্ডেও পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম-ঠিকানা দেওয়া আছে। এ বার প্রার্থীদের সুবিধার কথা ভেবে বেলা ১টার বদলে ২টোয় পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের কিছুটা সময় হাতে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে বলেছেন মানিকবাবু। মোবাইল ফোন বা অন্য কোনও বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকা যাবে না। কোনও পরীক্ষার্থীর কাছে ওই ধরনের সরঞ্জাম পাওয়া গেলে তা সঙ্গে সঙ্গে বাজেয়াপ্ত করা হবে। সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর পরীক্ষা বাতিলও করা হতে পারে।

সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা পর্ব সম্পন্ন করার জন্য জেলাশাসকদের বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের নেতৃত্বে পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক, প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক জেলা স্কুল পরিদর্শক, জেলা প্রাথমিক স্কুল সংসদের চেয়ারম্যানদের নিয়ে একটি করে বিশেষ নজরদারি কমিটি গড়া হচ্ছে বলে জানান মানিকবাবু।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE