বিক্ষোভ: সর্বভারতীয় হারে বেতনের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের জমায়েত। বুধবার মৌলালির রামলীলা ময়দানে। নিজস্ব চিত্র
অন্য প্রায় সব রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষকেরা সর্বভারতীয় বেতন-কাঠামো অনুযায়ী বেতন পাচ্ছেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকারা সেই বর্ধিত বেতন থেকে বঞ্চিত। কেন? এই প্রশ্ন তুলে বুধবার মৌলালির রামলীলা ময়দানে দিনভর অবস্থান করে বিক্ষোভ দেখালেন বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক শিক্ষকেরা।
প্রাথমিক শিক্ষকদের সর্বভারতীয় বেতনক্রম দ্রুত চালু করার দাবিতে উস্থি ইউনাইটেড প্রাইমারি টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে এই গণ অবস্থানে সামিল হন রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। ওই সংগঠনের রাজ্য সম্পাদিকা পৃথা বিশ্বাস বলেন, ‘‘রাজ্য বাজেটে প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতনের বিষয়ে কোনও কথাই বলা হয়নি। সরকার আমাদের বেতনক্রম নিয়ে কোনও ভাবনাচিন্তাই করছে না।’’
ওই সংগঠনের এক দল প্রতিনিধি এ দিন বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অফিসে স্মারকলিপি দিতে যান। তবে পার্থবাবুর সঙ্গে দেখা হয়নি ওই প্রতিনিধিদলের। পৃথাদেবী বলেন, ‘‘আমাদের এ দিন আসতে বলেও পার্থবাবু আমাদের সঙ্গে দেখা করলেন না। এ-রকম চললে আমরা আরও বৃহত্তর আন্দোলনে যাবো।’’
প্রাথমিক শিক্ষকদের এ দিনের বিক্ষোভ মঞ্চ অরাজনৈতিক বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও বিক্ষোভ-সমাবেশে হাজির ছিলেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য প্রমুখ। সুজনবাবু বলেন, ‘‘এক দিকে প্রাথমিক শিক্ষকেরা সর্বভারতীয় বেতন-কাঠামো অনুসারে বেতন পাচ্ছেন না। অন্য দিকে আবার সিভিক টিচার নিয়োগ করা হচ্ছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকায়! রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও বেশি করে বেসরকারি স্কুলের হাতে তুলে দিচ্ছে এই সরকার।’’
পাল্টা আক্রমণ হেনেছেন পার্থবাবু। সুজনবাবুকে ‘সর্বঘটে হলুদের গুঁড়ো’ অ্যাখ্যা দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘ওখানে গিয়ে উনি বলছেন, তাতে কিছু আসে-যায় না।’’
প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির দাবি প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘বিক্ষোভ-মিছিল না-করে কয়েক জন প্রতিনিধি এসে আমার সঙ্গে দেখা করতে পারতেন। স্কুলের দিনে মিছিল করে ওঁরা কি শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করলেন? রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে এসে ওঁরা স্কুলের দিনে মিছিল করছেন, বেতন বৃদ্ধির আন্দোলন করছেন কেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy