মেদিনীপুরের সভায় নরেন্দ্র মোদী। নিজস্ব চিত্র
মেদিনীপুরের সভায় ‘সিন্ডিকেট রাজ’ নিয়ে এ রাজ্যের শাসক দলের দিকে আঙুল তুললেন নরেন্দ্র মোদী। মোদীর বক্তব্যের একটা বড় অংশ জুড়েই ছিল এই ‘সিন্ডিকেট রাজ’ প্রসঙ্গ। তাঁর কথায়, “জনমজুর থেকে সাধারণ কৃষক সবার রোজগারের টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যাচ্ছে সিন্ডিকেট। ইট-বালি-সিমেন্ট কোথা থেকে নেবেন তাও ঠিক করে দিচ্ছে সিন্ডিকেট।” এমনকী তৃণমূলের ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতেও সিন্ডিকেটকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর।
সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে আজ বক্তৃতা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রবল বৃষ্টির মধ্যেই কলাইকুন্ডায় বায়ুসেনা ঘাঁটিতে নামেন তিনি। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে মেদিনীপুর শহরে। হেলিপ্যাড থেকে সড়কপথে পৌঁছন কলেজ গ্রাউন্ডের সভা ময়দানে। গোটা রাস্তা জুড়েই থিকথিক করছিল তৃণমূলের ২১ জুলাই-এর ব্যানার-ফেস্টুন। মমতার বড় বড় ছবি। সেটাকেই কটাক্ষ করে মোদী বলেন, “আমাকে স্বাগত জানানোর জন্য মমতাদিদিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।”
কেন্দ্রীয় সরকার ফসলের সহায়কমূল্য বাড়ানোর জন্য আজ প্রধানমন্ত্রীকে সম্বর্ধনা দিল রাজ্য বিজেপি। এই সভার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কৃষক কল্যাণ সভা’।
মোদীর বক্তৃতার শুরুতেই সভাস্থলে দুর্ঘটনা ঘটে, কিছুটা বিশৃঙ্খলা তৈরি হয় আজ। প্যান্ডেল বেয়ে উপরে উঠে পড়েছিলেন সভা শুনতে আসা অনেকে। সেই চাপে ভেঙে পড়ে প্যান্ডেলের একটা দিক। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৬২ জন। বেশ কয়েক জনকে হাসপাতালেও নিয়ে যেতে হয়েছে। সভার শেষে আহতদের দেখতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে যান প্রধানমন্ত্রী।
এ দিকে কলাইকুন্ডার হেলিপ্যাড থেকে গাড়িতে মেদিনীপুর শহরে ঢোকার মুখে একদল কালো পতাকা দেখান নরেন্দ্র মোদীকে।
বাংলায় ভাষণ শুরু করেন নরেন্দ্র মোদী
• আপনাদের সবাইকে নমস্কার, শুরুতেই বলেন মোদী
• বলেন, এই বিপুল জনসমাগম দেখে আমি আনন্দিত
• বাঙালির ফুটবলচর্চারও প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন— ‘আপনাদের ফুটবল চর্চার কথা বহু দূর পর্যন্ত ছড়িয়েছে’
• ‘সিন্ডিকেট রাজ’ প্রসঙ্গ তুলে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে এ দিন তোপ দাগেন মোদী
• ‘রাজ্যে মা মাটি মানুষের নামে সিন্ডিকেট রাজ চলছে
• ‘সিন্ডিকেটের নামে জোর করে গরিবের আয় ছিনিয়ে নেওয়া হচ্ছে
• ‘সিন্ডিকেট ছাড়া পশ্চিমবঙ্গে কিছু করা অসম্ভব
• ‘নতুন সংস্থা খোলার জন্য সিন্ডিকেটের দ্বারস্থ হতে হয়
• ‘ইট, বালি, সিমেন্ট কিনতেও সিন্ডিকেটের কাছে যেতে হচ্ছে
• ‘এমনকী কলেজে ভর্তিতেও সিন্ডিকেট
• ‘ভোট ব্যাঙ্কের জন্য সিন্ডিকেটকে ব্যবহার করা হচ্ছে...’— বলেন প্রধানমন্ত্রী
• এখানে সিন্ডিকেটের ইচ্ছেতেই সব হয়, অভিযোগ মোদীর
• বিরোধীদের হত্যা করার জন্য সিন্ডিকেট লাগানো হচ্ছে, বললেন মোদী
• ‘সমস্ত বেআইনি কাজে যুক্ত এই সিন্ডিকেট
• ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে একের পর এক দলিত কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে
• ‘তা সত্ত্বেও আপনারা আশা ছাড়েননি, এটাই বাংলার ভবিষ্যতের লক্ষণ
• ‘বাম শাসনে যে হাল ছিল, বাংলার অবস্থা এখন তার চেয়েও খারাপ
• ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন, বিচার ও পঞ্চায়েত ব্যবস্থায় যাঁদের ভরসা নেই, তাঁরা ছাড় পাবেন না
• ‘সাহস ও সংকল্প থাকলে সিন্ডিকেটের ভিত নড়ে যাবে
• ‘বাংলা জুলুমের শাসন থেকে মুক্তি চায়, সেই সুযোগের অপেক্ষাতেই রয়েছেন এ রাজ্যের মানুষ
• ‘বাংলায় গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে
• ‘আমি আজ বাংলার মানুষের শক্তি দেখলাম
• ‘সভাস্থলে দুর্ঘটনার পরও আপনারা শান্ত হয়ে রয়েছেন
• ‘সারা জীবন এই সভা মনে রাখব
• ‘টানা বৃষ্টি, কাঠামো ভেঙে পড়া সত্ত্বেও আমাদের পাশে রয়েছেন
• ‘আমি বাংলার মানুষকে শত শত প্রণাম জানাই...’— বলেন মোদী
• ‘আমায় স্বাগত জানাতে এত পতাকা-ফেস্টুন টাঙানো হয়েছে। তার জন্য মমতা দিদির কাছে আমি কৃতজ্ঞ’— বলেন মোদী
• মাতঙ্গিনী হাজরা, অরবিন্দ-সহ বাংলার বিপ্লবীদের স্মরণ মোদীর
• ‘দেশের সব শ্রেণির মানুষ দেশের উন্নয়নে নতুন নতুন ভাবনা নিয়ে আসছেন
• ‘ভারতীয় জনতা পার্টি দেশের সাধারণ মানুষের অগ্রগতির জন্য নীতি প্রণয়ন করছে
• ‘আবার বাংলায় স্লোগান— আমার দরকার আপনাদের সরকার, কৃষকদরদী সরকার...’— বলেন নরেন্দ্র মোদী
• ‘ফসলের সহায়ক মূল্য বাড়ানো হয়েছে
• ‘পশ্চিমবঙ্গের পাটচাষিরা উপকৃত হবেন
• ‘বিজেপি সরকার সারা দেশেই কৃষকদের কল্যাণে কাজ করছে
• ‘২০২২ সালের মধ্যে কৃষকের আয় দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি
• ‘কৃষক আমাদের অন্নদাতা, গ্রাম আমাদের আত্মা
• ‘কৃষক এবং গ্রামের উন্নয়ন না হলে দেশের অগ্রগতি হয় না
• ‘আগে বিদেশ থেকেও বাঁশ আমদানি করতে হত, আদিবাসীদের বাঁশ বিক্রির অধিকার ছিল না, এখন পরিস্থিতি বদলেছে
• ‘হিমঘর না থাকায় সমস্যায় ছিলেন কৃষকরা
• ‘কৃষকরা মোবাইলের মাধ্যমেই বাজারে তাঁদের পণ্য বিক্রি করতে পারছেন
• ‘চটের দাম বাড়ানোয় বাংলা উপকৃত হয়েছে
• ‘২২ হাজার গ্রামীণ হাটের পরিকাঠামো দ্রুত উন্নতি করা হচ্ছে
• ‘রাজ্য সরকারও বাজার সংস্কার করুক, তাতে উপকৃত হবেন রাজ্যের কৃষকরা
• ‘বিজেপির আগে কৃষকদের কথা আগে আর কেউ ভাবেনি...’— বলেন প্রধানমন্ত্রী
সভায় দিলীপ ঘোষের বক্তব্য
• ‘প্রধানমন্ত্রী এখানে এসে মেদিনীপুরের সম্মান বাড়িয়েছেন। তাই রাজ্যের কৃষকদের তরফে আমরা তাঁকে অভিনন্দন জানাই, বললেন দিলীপ ঘোষ।
• ‘পঞ্চায়েতে ৪২ শতাংশ কৃষক ভোট দিতে পারেননি
• ‘কৃষকরা ফসলের সহায়ক মূল্য পান না
• ‘ভোটের সন্ত্রাসে কৃষকদের মৃত্যু হয়েছে
• ‘মমতা শুধুই প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু সেগুলি পূরণ করেন না
• ‘অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ভাতাবৃদ্ধির হলেও কবে পাবেন, তা জানা নেই
• ‘আলুর চাষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিন্তু হিমঘর নেই
রাজ্য বিজেপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আজ দেওয়া হয় লাঙল, আয়না, ধানের শিস, গামছা, টোকা
প্রধানমন্ত্রীকে উপহার তুলে দেন বিজেপি নেতারা
সভায় আজ বক্তব্য রাখেন রাহুল সিংহ, বাবুল সুপ্রিয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy