অণ্ডাল বিমানবন্দরে প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। ছবি: প্রশাসন সূত্রে প্রাপ্ত
শান্তিপূর্ণ পথে নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার পরামর্শ দিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা গাঁধী, দাবি করলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলা কংগ্রেস নেতৃত্ব। ঝাড়খণ্ডে ভোটের প্রচারে জনসভায় যোগ দিতে বুধবার দিল্লি থেকে চার্টার্ড বিমানে অণ্ডাল বিমানবন্দরে আসেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গাঁধী। তার কিছুক্ষণ আগে আলাদা চার্টার্ড বিমানে আসেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। বিমানবন্দরে প্রায় আধ ঘণ্টা বিশ্রামের পরে, হেলিকপ্টারে তাঁরা ঝাড়খণ্ডের উদ্দেশে রওনা দেন। বিমানবন্দরে প্রিয়ঙ্কাকে স্বাগত জানান পশ্চিম বর্ধমান জেলা কংগ্রেস সভাপতি তরুণ রায়।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের শেষ দফা নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনে পাকুড়ে এক জনসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন প্রিয়ঙ্কা ও ভূপেশ বাঘেল। এর আগে রবিবার ও মঙ্গলবার ঝাড়খণ্ডে প্রচারে যাওয়ার পথে অণ্ডাল বিমানবন্দরে নেমেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে দেখা করে রাজ্য বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। মঙ্গলবার ওই প্রতিনিধি দলের তরফে দাবি করা হয়, নতুন নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় রাজ্য জুড়ে কয়েকদিন ধরে যে গোলমাল চলছে, তার ছবি ও তথ্যের একটি পুস্তিকা তুলে দেওয়া হয়েছে মোদীর হাতে।
এ দিন দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিট নাগাদ প্রিয়ঙ্কা অণ্ডালে এসে পৌঁছন। ঘণ্টাখানেক আগেই এসে গিয়েছিলেন ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন। বিমানবন্দরের নির্দিষ্ট ঘরে খানিক বিশ্রামের পরে, দুপুর সওয়া ১টা নাগাদ তাঁদের নিয়ে হেলিকপ্টার উড়ে যায় ঝাড়খণ্ডের দিকে। এরই মধ্যে কংগ্রেস নেতা তরুণবাবু এবং আইএনটিইউসি নেতা সুভাষ সাহা প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে দেখা করেন।
তরুণবাবু জানান, প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে প্রিয়ঙ্কাকে স্বাগত জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তাঁরা তাঁকে তিনি ফুল দিয়ে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, ‘‘প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কথা হয়েছে। শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক পথে এই আইনের বিরোধিতা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।’’ বিকেল ৪টে নাগাদ পাকুড় থেকে হেলিকপ্টারে অণ্ডালে ফিরে আসেন প্রিয়ঙ্কা ও ভূপেশ বাঘেল। এর পরে প্রথমে প্রিয়ঙ্কার বিমান ও তার পরে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীর বিমান অণ্ডাল বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy