Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

নলি কেটে বৃদ্ধা খুন

পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীরা কিছু সোনার গয়না হাতিয়েছে। তবে, শুধু সেই গয়না হাতানোর জন্যই অশক্ত বৃদ্ধাকে এ ভাবে খুন করা হল কিনা, তা রাত পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

সুলেখা মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

সুলেখা মুখোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

তাপস ঘোষ
ব্যান্ডেল শেষ আপডেট: ২৭ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:১৮
Share: Save:

ঘরের তিন-চারটি শোকেস, আলমারি খোলা। খোলা গয়নার বাক্সও। বিছানা লন্ডভন্ড। আর বিছানার সামনে, মাটিতে মুখবাঁধা এবং গলার নলিকাটা অবস্থায় পড়ে রয়েছে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকার দেহ!

বৃহস্পতিবার সকালে ব্যান্ডেলের কাজিডাঙার বাসিন্দা, সুলেখা মুখোপাধ্যায় (৬৬) নামে ওই বৃদ্ধার দেহ এ ভাবে পড়ে থাকতে দেখে চমকে গিয়েছিলেন পড়শিরা। যিনি রাতদিন পড়াশোনা নিয়ে থাকতেন, ইদানীং অসুস্থও হয়ে পড়েছিলেন, তাঁকে কারা কেন খুন করল, এ নিয়ে শুরু হয় জল্পনা। পুলিশ জানায়, দুষ্কৃতীরা কিছু সোনার গয়না হাতিয়েছে। তবে, শুধু সেই গয়না হাতানোর জন্যই অশক্ত বৃদ্ধাকে এ ভাবে খুন করা হল কিনা, তা রাত পর্যন্ত স্পষ্ট নয়।

সুলেখাদেবীর বাবা সুদীপচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন প্রত্নতত্ত্ববিদ। ঘরে কিছু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রয়েছে। তার মধ্যে কিছু খোয়া গিয়েছে কিনা, স্পষ্ট নয় তা-ও। অবিবাহিত সুলেখাদেবী একাই থাকতেন। তাঁর বোন, চন্দননগরের বাসিন্দা সুব্রতা চক্রবর্তীও এ ব্যাপারে অন্ধকারে। চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার পীযূষ পাণ্ডে বলেন, ‘‘কিছু গয়না খোয়া গিয়েছে। ওই বাড়িতে প্রত্নতাত্ত্বিক জিনিস কী ছিল, তার দাম, কিছু খোয়া গিয়েছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। খুনের কারণ-সহ সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃদ্ধার দুই পরিচারিকাকে আটক করা হয়েছে।’’ সুলেখাদেবী কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অঙ্কের শিক্ষিকা ছিলেন। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন। দোতলা বাড়ির একতলার একটি ঘরে থাকতেন। দিনে দু’বেলা দুই পরিচারিকা কাজ করতে আসতেন। সকালে তাঁদেরই এক জন এসে বেল বাজিয়ে সাড়া পাননি। পাশেই থাকেন সুলেখাদেবীর দাদা ও ভাই। তাঁরাও আসেন। খবর যায় পুলিশে। পুলিশ এসে সুলেখাদেবীর ঘরের দরজা ভেঙে দেহটি উদ্ধার করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bandel Kalyani University Lecturer Professor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE