প্রতীকী ছবি।
পুলওয়ামায় গত ১৪ তারিখের জঙ্গি হামলা হওয়ার পর থেকে এই ক’দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কাশ্মীরিদের উপরে চড়াও হওয়া, হুমকি দেওয়া, এমনকি মারধর করার মতো ঘটনাও ঘটছে। বাদ যায়নি পশ্চিমবঙ্গও। তবে এ সব রোখার জন্য সুপ্রিম কোর্ট শুক্রবার নির্দেশ জারি করলেও, এমন ঘটনা ঠেকাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগে থেকেই ব্যবস্থা নিচ্ছে। রাজ্য সরকারি সূত্রের দাবি, ইতিমধ্যে যতগুলি ঘটনা ঘটেছে, আক্রান্তদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি, দোষীদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ করা হয়েছে।
এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) সিদ্ধিনাথ গুপ্ত এ দিন বলেন, ‘‘কিছু লোক বাইরে থেকেও এ সব করছে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে ২২টি ঘটনা ঘটেছে। ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’ কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, কলকাতায় কাশ্মীরি নিগ্রহ নিয়ে মোট ৬টি মামলা দায়ের হয়েছে। তার তিনটেতে শুক্রবার পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দেশের নানা প্রান্তে কাশ্মীরিদের উপরে হামলার কড়া নিন্দা করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে বৃহস্পতিবার একটি নোটিস পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র ও মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিবের কাছে। দু’সপ্তাহের মধ্যে পরিস্থিতি ও সরকারের ভূমিকা নিয়ে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। নোটিস পাঠানো হয়েছে দিল্লির পুলিশ কমিশনার, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিবকেও। রাজ্য সরকারের দাবি, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চিঠি পৌঁছয়নি।
কমিশনের প্রধান এখন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এইচ এল দাত্তু। সংবাদ মাধ্যমের খবর, তিনি ওই নোটিসে কঠোর ভাষায় লিখেছেন, ‘‘দেশ জুড়ে ক্রোধ ও শোকের আবহ থাকলেও কোনও সভ্য সমাজে দেশবাসীর উপরে দেশেরই কিছু লোকের এমন হিংসাত্মক আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। কাশ্মীরিদের উপরে আক্রমণ দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোই ধ্বংস করে দেবে।’’ রাজ্য প্রশাসনের কর্তারা সকলেই একবাক্যে জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রধান বিচারপতির ওই বক্তব্যের সঙ্গে তাঁরা পুরোপুরি সহমত। এবং সজাগ রয়েছেন প্রথম থেকেই। এ দিন নবান্নে কলকাতা পুলিশের কমিশনার অনুজ শর্মা বলেন, ‘‘গুজব ছড়ানোর বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। কিছু লোক ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক স্বার্থে এ সব করছে। এমন কিছু মানুষকে আমরা চিহ্নিত করতে পেরেছি। এদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy