পুরুলিয়ায় দুই দলীয় কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। কিন্তু শীর্ষ আদালত আজ জানিয়ে দিয়েছে, এ বিষয়ে তাদের কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করতে হবে।
গত ৩০ মে পুরুলিয়ার বলরামপুরে গাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় ত্রিলোচন মাহাতোর দেহ। তাঁর পিঠে আটকানো পোস্টারে লেখা ছিল, পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচার করার শাস্তি। দিন তিনেক পরে দুলাল কুমার নামে আরও এক বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দুলালের বাবা মহাবীর কুমারের হয়েই আজ সুপ্রিম কোর্টে নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী গৌরব ভাটিয়া। কিন্তু শীর্ষ আদালতের যুক্তি, এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যেতে হবে।
আইনজীবী ভাটিয়া আজ সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছেন, পুরুলিয়ায় দুই বিজেপি কর্মী খুন হয়েছেন। বিষয়টি খুবই গুরুতর। পঞ্চায়েত ভোটের ফল বেরনোর পর পরই দুই বিজেপি কর্মী খুন হন। ভোটের সময়ও হিংসা হয়েছে। এ নিয়ে সিবিআই তদন্ত প্রয়োজন। এ জন্য বিস্তারিত শুনানির আবেদন জানান ভাটিয়া। সুপ্রিম কোর্টে এখন গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে। তাই অবকাশকালীন বেঞ্চেই আর্জি জানিয়েছিলেন ভাটিয়া। কিন্তু বিচারপতি এ কে গয়াল ও বিচারপতি অশোক ভূষণের বেঞ্চ তাঁর আর্জি খারিজ করে দিয়ে বলে, সুরাহার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে হবে।
বিজেপি এই দু’টি মৃত্যুর ঘটনাতেই ‘তৃণমূল আশ্রিত’ দু্ষ্কৃতীদের দিকে আঙুল তুলেছে। তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে। ময়না-তদন্তের আগেই জেলার পুলিশ সুপার দুলালের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে ঘোষণা করে দেওয়ায় তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নেয় নবান্ন।
চলতি মাসের শেষেই বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ পুরুলিয়া যাচ্ছেন। তিনি ইতিমধ্যেই টুইট করে অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধে টুইট করেন বিজেপি নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাঁরও দাবি, সিবিআই তদন্ত না হলে দুলাল-ত্রিলোচনদের পরিবার বিচার পাবে না। তৃণমূল শিবিরের যুক্তি, রাজনৈতিক লড়াইয়ে এঁটে উঠতে না পেরেই আদালতে গিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি তুলে চাপ তৈরি করতে চাইছেন বিজেপির নেতারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy