প্রতীকী ছবি।
ছিল ১০ লক্ষ। হল এক কোটি।
নতুন অফিস, প্রশাসনিক ভবন, অতিথিশালা নির্মাণে খরচের পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকার বেশি হলে এত দিন অর্থ দফতরের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হত পূর্ত দফতরকে। এ বার সেই নিয়ম শিথিল করা হল। অতিরিক্ত ৯০ লক্ষ টাকা সরাসরি খরচের অধিকার পেল পূর্ত দফতর। কোনও কাজের খরচ এক কোটি টাকা ছা়ড়ালে তবেই অনুমতি নিতে হবে।
অগস্টের শুরুতে অন্য কয়েকটি দফতরের সঙ্গে পূর্ত দফতরকেও বলা হয়েছিল যে, ১০ লক্ষ টাকার বেশি সরাসরি খরচ করা যাবে না। কিন্তু সেই টাকায় নতুন অফিস, প্রশাসনিক ভবন, অতিথিশালা, পুরনো ভবনের সম্প্রসারণ, অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জার কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল পূর্ত দফতরকে। তার অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হলে বারবার ফাইল পাঠাতে হত অর্থ দফতরে। ফলে কাজের গতি অনেকটাই ‘শ্লথ’ হয়ে পড়ছে বলে পূর্ত দফতরে গুঞ্জন শুরু হয়। তার পরেই খরচের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য অর্থ দফতরের কাছে আবেদন জানান পূর্তকর্তারা। সেই আর্জি মেনে টাকা খরচের ব্যাপারে পরীক্ষাও নেয় অর্থ দফতর। সেই পরীক্ষায় ‘পাশ’ করে পূর্ত দফতর। পূর্ত দফতরের ব্যাখ্যা-বক্তব্য ঠিক বলে জানায় অর্থ দফতর।
এই প্রেক্ষিতে অর্থ দফতরের তরফে গত শনিবার নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়। খরচের নিয়ম শিথিল করে তাতে বলা হয়, অর্থ দফতরের আগাম অনুমোদন ছাড়াই প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ ও অন্য কাজে এক কোটি টাকা পর্যন্ত প্রকল্পের কাজ করতে পারবে পূর্ত দফতর। এক প্রশাসনিক কর্তা জানান, সরকারি বা আমজনতার পরিষেবার কাজে লাগে, এমন ভবন বা কার্যালয় নির্মাণ কিংবা সংস্কারের কাজ করে পূর্ত দফতরই। তার মধ্যে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল বা সরকারি দফতরের পৃথক ভবন তৈরি বা সংস্কার সবই আছে। অনেক সময়েই ১০ লক্ষ টাকায় ওই সব কাজ করা সম্ভব হয় না। তাই নিয়মবিধি পুনর্বিবেচনা করার আবেদন জানানো হয় অর্থ দফতরের কাছে। আবেদনের গুরুত্ব যাচাই করে তাতে সাড়া দিয়েছে অর্থ দফতর।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কোনও আধিকারিক বা দফতরের অনুরোধে তাঁদের নিজস্ব অফিসের অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা সংক্রান্ত কাজের ক্ষেত্রে অবশ্য এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। তেমন অনুরোধ এলে সংশ্লিষ্ট অফিসার বা দফতরের প্রয়োজনীয় অনুমতি রয়েছে কি না, তা যাচাই করবেন পূর্তের কর্তারা। তার পরে কাজ হাতে নেবে পূর্ত দফতর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy