Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

সবুজ বাঁচিয়ে রাজ্যে তৃতীয় স্থানে

শুধু গাছ লাগালেই হবে না। তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত পরিচর্যাও করতে হবে।

যত্নে রক্ষা। নিজস্ব চিত্র

যত্নে রক্ষা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
রঘুনাথপুর শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৯ ০২:৩৫
Share: Save:

বৃক্ষরোপণ করে তার পরিচর্যা করার নিরিখে রাজ্যে তৃতীয় স্থান পেল বনদফতরের পুরুলিয়ার কংসাবতী উত্তর বিভাগের রঘুনাথপুর রেঞ্জ।

শুধু গাছ লাগালেই হবে না। তাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত পরিচর্যাও করতে হবে। এই বিষয়েই আয়োজিত হয়েছিল বনদফতরের ‘রূপসী বাংলা’ প্রতিযোগিতা। তাতেই পুরুলিয়ার কংসাবতী উত্তর বিভাগের রঘুনাথপুর রেঞ্জের এই স্বীকৃতি। সম্প্রতি সুন্দরবনে রাজ্য বনমহোৎসব অনুষ্ঠানে রঘুনাথপুর রেঞ্জের আধিকারিকদের এই পুরস্কার দিয়েছেন বনমন্ত্রী ব্রাত্য বসু। কংসাবতী উত্তর বিভাগের ডিএফও সোমা দাস বলেন, ‘‘গাছের পরিচর্যা করে গাছকে বাঁচিয়ে রাখার নিরিখে রঘুনাথপুর রেঞ্জের এই পুরস্কার পাওয়ায় খুশি আমরা।”

শুধু গাছ লাগানোই নয়। গাছের পরিচর্যা করে বাঁচিয়ে রাখার কাজে বর্তমানে গুরুত্ব দিচ্ছে বনদফতর। সূত্রের খবর, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে গাছ লাগানোর পরে স্রেফ নিয়মিত পরিচর্যার অভাবে গাছ বাঁচছে না। শতাংশের নিরিখে অন্তত ৩০ শতাংশ গাছ বাঁচছে না পরিচর্যার ও দেখভালের অভাবে। সেই প্রেক্ষিতে রঘুনাথপুরের কুঞ্জবিহারী মৌজায় পাঁচ হেক্টর জমিতে বনদফতরের করা বনসৃজন অবশ্যই ব্যতিক্রমী ঘটনা বলে মনে করেছেন বনদফতরের কর্তারা। এই কুঞ্জবিহারী মৌজায় গাছ লাগিয়ে তার ৯৩.৫% অর্থ্যাৎ, প্রায় ৮ হাজার গাছ বাঁচিয়ে রাখার কাজটা সফল ভাবে করেই পুরস্কার পেয়েছে রঘুনাথপুর। বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গাছ বাঁচিয়ে রাখার কাজ করে রাজ্যে প্রথম হয়েছে রায়গঞ্জ। দ্বিতীয় পশ্চিম মেদেনীপুর ও তৃতীয় স্থান পেয়েছে রঘুনাথপুর। অন্য দুই জেলা কমবেশি ৯৭.৫% গাছ বাঁচিয়ে রাখতে পেরেছে।

রঘুনাথপুরের রেঞ্জ অফিসার বিবেক ওঝা জানান, কুঞ্জবিহারী মৌজায় শাল-সহ লাগানো হয়েছে মেহগনি, পিয়াল, আমলকি, হরিতকী ও আরও বেশ কিছু প্রজাতির গাছ। পাঁচ বছর আগে সেই বনসৃজন করা হয়েছিল। পাঁচ বছর ধরে নিয়মিত পরিচর্যা করার পরে সাড়ে ৯৬ শতাংশ গাছ বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে। বিবেকবাবুর দাবি, ‘‘কাজটা মোটেই সহজ ছিল না। কারণ পরিচর্যায় একটু ঢিলেমি দিলেই গাছ আর বাঁচে না। তাই ফায়ার লাইন তৈরি করে মালচিং করা-সহ অন্যান্য কাজ করা হয়েছে নিয়ম করে।” তবে এই কাজগুলো তাঁদের নির্দেশ স্থানীয় বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যেরা ঠিক ভাবে করার ফলেই গাছ বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে বলে মানছেন বন দফতরের কর্তারা।

নিতুড়িয়ার বিট অফিসার শুভেন্দু বিশ্বাস জানান, ফায়ার লাইন তৈরি করা বিষয়টি যথেষ্ট পরিশ্রমের। আগুন লেগে যাতে গাছ পুড়ে না যায় তাই তৈরি করা হয় ফায়ার লাইন। দু’টি গাছের মধ্যের ফাঁকা জায়গার আগাছা কেটে সাফ করে দিতে হয়। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘নিয়মিত পাঁচ হেক্টর জমির আগাছা কেটে সাফ করার কাজটা সহজ নয়। বন সুরক্ষা কমিটির লোকজন পরিশ্রম করে কাজটা করেছেন।” রেঞ্জ অফিসার বিবেক ওঝা বলেন, ‘‘বন সুরক্ষা কমিটির সদস্যদের অক্লান্ত চেষ্টাতেই পাঁচ হেক্টর জমির উপরে লাগানো আট হাজার গাছের প্রায় পুরোটাই বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হয়েছে।”

এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tree Plantation Environment
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE