ঘোষণার পর হুড়োহুড়ি। —ফাইল ছবি
সাঁতরাগাছির দুর্ঘটনার পর আর জোড়াতালি দিয়ে ঘোষণার কাজ চালানোয় ভরসা রাখতে পারছেন না রেলের কর্তারা।
খড়গপুর ডিভিশনের ৯টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে ‘অনুসন্ধান কেন্দ্র’ সামলানো এবং ঘোষণার দায়িত্ব বেসরকারি পেশাদার সংস্থার হাতে দিতে চলেছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। বেসরকারি পেশাদার সংস্থার মাধ্যমে বাছাই করা দক্ষ কর্মীদের হাতে চুক্তির ভিত্তিতে ওই দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে, নজরদারি চালাবেন রেলের কর্মীরাই। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের এক কর্তা এ দিন বলেন,“ঘোষণার কাজ সুষ্ঠ ভাবে হলে যাত্রীদের মধ্যে বিভ্রান্তি কমে। রেলের কর্মী এবং রক্ষীদের ঝক্কিও কমে যায়।”
এত দিন ওই কাজে দায়বদ্ধতা এবং পেশাদারিত্বের যে অভাব ঘটছিল, তা-ও মেনে নেন ওই কর্তা। বিভিন্ন সময়ে ছোটখাটো বিক্ষোভ, অবরোধ বা দুর্ঘটনার পরে রেলের তরফে ঘোষণার ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেওয়ার কথা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে কম্পিউটার সফটওয়্যারের মাধ্যমে ট্রেনের সময়, প্ল্যাটফর্ম নম্বর ইত্যাদি ঘোষণার ব্যবস্থা থাকলেও জরুরি প্রয়োজনে রেলকর্মীদেরই ঘোষণার কাজ করতে হয়। রেলের বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মীরাই সেই কাজ করেন। ফলে প্রায়ই দেখা যায় অন্য কাজ সামলে একেবারে শেষ মুহূর্তে ঘোষণা করার সময় পাচ্ছেন তাঁরা। তাতে বিপত্তি বাড়ছে।
তাই সাঁতরাগাছি ছাড়াও হাওড়া স্টেশনের নিউ কমপ্লেক্স, শালিমার, মেদিনীপুর, খড়গপুর ও দিঘা স্টেশনে অনুসন্ধান কেন্দ্র পরিচালনা এবং ঘোষণার দায়িত্ব বেসরকারি সংস্থার হাতে দেওয়া হচ্ছে। খড়গপুর ডিভিশনে ওড়িশার হিজলি, বালেশ্বর এবং জলেশ্বর স্টেশনেও ওই ব্যবস্থা চালু হচ্ছে। খড়গপুর ডিভিশনের সিনিয়র ডিভিশনাল কমার্শিয়াল ম্যানেজার কূলদীপ তিওয়ারি বলেন, “বেসরকারি সংস্থাকে দু’বছরের জন্য ওই দায়িত্ব দেওয়া হবে।” এ দিকে, সাঁতরাগাছি স্টেশনে এ দিনই ফুটব্রিজে তড়িঘ়ড়ি ৬টি সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে বলে রেল সূত্রে খবর। কোনা এক্সপ্রেসওয়ের দিকে একটি টিকিট কাউন্টারও বাড়ানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy