জোরকদমে: কাঁকিনাড়ায় চলছে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা নির্মাণের কাজ। এর ফলে বাতিল হয়েছে বেশ কয়েক জোড়া ট্রেন। রবিবার। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়
ছুটির দিন হওয়ায়, রবিবার শিয়ালদহ-নৈহাটি শাখায় ট্রেন কম চলার প্রভাব তেমন ভাবে বোঝা যায়নি। প্রথম দিনে গোটা দশেকের কাছাকাছি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তবে আজ, সোমবার থেকে সপ্তাহের কাজের দিনে ভিড় সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে রেলের আসল পরীক্ষা শুরু হবে।
যদিও রেল কর্তাদের দাবি প্রতিদিন শিয়ালদহ-নৈহাটি শাখায় ১১০ জোড়া ট্রেন চলে। তার মধ্যে মাত্র কুড়ি জোড়ার একটু বেশি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। ব্যস্ত সময় এড়িয়ে দিয়ে তুলনামূলক ভাবে কম গুরুত্বপূর্ণ ট্রেন বাতিল করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
তবে উত্তর শহরতলির যাত্রীদের কথা ভেবে রবিবার থেকে মেট্রোয় নোয়াপাড়াগামী ট্রেনের সংখ্যা এবং সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে, সকালে সাতটা থেকে আটটার মধ্যে নোয়াপাড়া থেকে দমদমের দিকে ৪ টি ট্রেন চালানোর পাশাপাশি কবি সুভাষ থেকে রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ছাড়া শেষ ট্রেনটিও নোয়াপাড়া যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: কাজ দেখানোর বাজেটে লক্ষ্য হবে কর্মসংস্থান
সপ্তাহের কাজের দিনের তুলনায় রবিবার ট্রেনের সংখ্যা এমনিতেই কম থাকে। সরকারি অফিস এবং স্কুল কলেজ বন্ধ থাকায় যাত্রীসংখ্যাও এ দিন অনেকটা কম ছিল। ফলে শিয়ালদহ-নৈহাটি শাখায় ট্রেন বাতিলের প্রভাব ততটা পড়েনি। এ দিন থেকেই ইছাপুর এবং
নৈহাটির মধ্যে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যবস্থা নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওই কাজ চলবে বলে জানিয়েছিল রেল। রেল কর্তাদের দাবি, ওই কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে শিয়ালদহ-নৈহাটি শাখায় আগের চেয়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো সম্ভব হবে।
এ দিন থেকে ১৩ জোড়া শিয়ালদহ-নৈহাটি লোকাল বাতিল থাকছে। এ ছাড়াও রানাঘাট-নৈহাটি, শিয়ালদহ-কৃষ্ণনগর, এবং ৭ জোড়া শিয়ালদহ-কল্যাণী সীমান্ত লোকাল বাতিল থাকবে। দূর পাল্লার বেশ কিছু এক্সপ্রেস ট্রেনকে দক্ষিণেশ্বর-ডানকুনি হয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। ট্রেন বন্ধ থাকার জেরে উত্তর শহরতলি থেকে কলকাতায় আসা যাত্রীদের একাংশ সমস্যায় পড়তে পারেন। সেই সঙ্গে টালা সেতু বন্ধ থাকায় পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy