মধ্যেই গন্তব্যের পথে। বৃহস্পতিবার, ধর্মতলায়। ছবি: সুমন বল্লভ
বর্ষার শুরুতে বর্ষণের জন্য হাপিত্যেশ করতে হয়েছে গাঙ্গেয় বঙ্গের বাসিন্দাদের। আর এখন, মহোৎসবের মুখে টানা বৃষ্টিই ঘনিয়ে আনছে আশঙ্কা। আকাশের মেজাজমর্জি দেখে বাঙালির মুখে মুখে প্রশ্ন ঘুরছে, দেবীপক্ষেও কি এমনই বৃষ্টি চলবে? শেষ পর্যন্ত উৎসবের মেজাজ পণ্ড হয়ে যাবে কি না, তা নিয়ে বেজায় দোলাচলে পুজোকর্তা থেকে আমজনতা। আবহবিদেরাও আপাতত আশ্বাসবাণী শোনাতে পারছেন না।
কেন্দ্রীয় আবহবিজ্ঞান দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল (পূর্বাঞ্চল) সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার জানান, আপাতত শনিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় বঙ্গে বৃষ্টি চলবে। তবে মূলত হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিই হবে। আগামী রবি ও সোমবার উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হতে পারে।
আবহবিদরা কেউ কেউ মনে করছেন, দেবীপক্ষ শুরু হয়ে গেলে বরুণদেবের মেজাজ শান্ত হতে পারে। কিন্তু তাতে ঝকঝকে রোদ মিলবে কি না, তার নিশ্চয়তা নেই। এক আবহবিদের মতে, বৃষ্টি না-হলেও দেবীপক্ষে শুকনো খটখটে আকাশ পাওয়ার আশা কম। এই পরিস্থিতিতে কপালের ভাঁজ চওড়া হচ্ছে পুজোকর্তাদের। টালা সরকারবাগানে এ বার ‘পাখি বাঁচানোর’ থিমের মণ্ডপ। তার অনেকটাই কাগজের মতো নরম উপাদানে তৈরি। ‘‘বৃষ্টির জন্য মণ্ডপের বাইরের অংশে কাজ পণ্ড হয়েছে,’’ বলছেন পুজোকর্তা দেবজ্যোতি দে। পটুয়াপাড়ায় ব্লো-ল্যাম্প জ্বেলে প্রতিমার রং শুকোনোর কাজ চলছে।
তবে আশা ছাড়ছেন না অনেকে। বলছেন, প্রকৃতির খামখেয়ালে হয়তো আচমকাই বৃষ্টি বন্ধ হয়ে শরতের নীল আকাশ উঁকি দিতে পারে। যা শুনে মুচকি হাসছেন আবহবিজ্ঞানীদের অনেকেই। বলছেন, ‘‘প্রকৃতির খামখেয়ালে বিপর্যয় তো অনেক হয়। এ বার একটু উল্টো হলে ক্ষতি কী?’’
প্রশ্ন, সত্যিই তেমন হবে কি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy