আষাঢ়ের শেষে এসে যেন ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বর্ষা! সৌজন্য বঙ্গোপসাগরে দানা বাঁধা নতুন ঘূর্ণাবর্ত। তার দাপটেই শুক্রবার দুপুরের এক পশলা বৃষ্টিতে কার্যত ধুয়ে যায় কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকা। রাস্তায় জল জমে ব্যাহত হয় যান চলাচল। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী অন্তত দু’দিন কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে হাল্কা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হবে।
এ দিন সকাল থেকেই আকাশে হাল্কা মেঘ জমছিল। বেলা সাড়ে ১১টার পর থেকে শুরু হয়ে যায় কালো মেঘের আনাগোনা। অচিরেই নামে মুষলধার বৃষ্টি। ঘণ্টাখানেকের মধ্যে কলকাতার একাংশ জলমগ্ন হয়ে যায়। হাওয়া অফিসের খবর, এ দিন মূল বর্ষণটা হয়েছে কলকাতা এবং লাগোয়া এলাকাতেই। দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জেলা বৃষ্টির অল্পবিস্তর ভাগ পেয়েছে। দুপুরে কলকাতায় ৬৬.৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দমদমে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৪৮ মিলিমিটার।
এ দিন ভরদুপুরে পরমা উড়ালপুল দিয়ে অফিস আসছিলেন এক ব্যক্তি। গাড়ির সামনে বসে বৃষ্টির ছবি মোবাইল-বন্দি করে সহকর্মীদের পাঠিয়েছেন তিনি। বলছিলেন, ‘‘এমন মুষলধারে ব়ৃষ্টি যে, কয়েক হাত দূরের জিনিসও স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল না!’’ ছাতা মাথায় দিয়েও মেট্রো স্টেশন থেকে কয়েক পা হাঁটতে গিয়েই ভিজে গিয়েছেন অনেকে। অফিসের সামনে জল জমে যাওয়ায় প্যান্ট গুটিয়ে, জুতো হাতে নিয়ে গাড়ি থেকে নামতে হয়েছে! কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, অল্প সময়ে এমন বেশি বৃষ্টির জন্য উত্তর থেকে দক্ষিণ কলকাতার অধিকাংশ এলাকাতেই জল জমে যায়। ফলে গতি কমে যানজট হয়। ব্যাহত হয়েছে ট্রেন চলাচলও।
শুধু শহর কলকাতাতেই হঠাৎ এমন জোরালো বৃষ্টি কেন? আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশকুমার দাসের ব্যাখ্যা, ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে তৈরি মেঘের বেশিটাই ভেঙেছে কলকাতার উপরে। ফলে অল্প সময়ে অতিবৃষ্টি হয়েছে। বর্ষার সময়ে প্রাকৃতিক কারণেই মাঝেমধ্যে এমন ঘটনা ঘটে। ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে আজ, শনিবার থেকে সারা গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেই বৃষ্টি হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy