দেখতে অনেকটা ক্রেডিট কার্ডের মতো। ক্রেডিট কার্ডের চেয়ে কিছুটা পুরু। ১৬ সংখ্যার নম্বর ছাড়াও একটি ক্রেডিট কার্ডের উপর যা যা লেখা থাকে, সবই প্রায় একই রকম ভাবে লেখা।
ওটি আসলে একটি ডিভাইস। ডিভাইসটির মধ্যে একটি ব্যাটারি রয়েছে। পাশে ঢোকানো রয়েছে ফোনের সিমকার্ড। রয়েছে কল ধরা ও কেটে দেওয়ার সুইচ। সঙ্গে রয়েছে পেনসিলের মাথার মতো দেখতে ছোট্ট একটি ‘এয়ার বাগ’। একটি সরু ছোট্ট তার বেরিয়ে রয়েছে। আসলে ওটি ব্লু-টুথ ডিভাইস। এর মাধ্যমেই কথা বলা যায়।
কিন্তু কীসের প্রয়োজনে লাগছে এই আধুনিক ডিভাইস?
এই ডিভাইস ব্যবহার করে রবিবার রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদের চাকরির পরীক্ষায় টুকলি করবার পরিকল্পনা করেছিল জনাকয়েক পরীক্ষার্থী। তল্লাশি করে বনগাঁ থানার পাঁচ পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকেই উদ্ধার হয়েছে ডিভাইসটি।
বনগাঁ মহকুমার ৩৮টি কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়। পুলিশের তরফে পরীক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, পরীক্ষাকেন্দ্রে মোবাইল বা কোনও বৈদ্যুতিন যন্ত্র নিয়ে প্রবেশ নিষেধ। পরীক্ষার্থীদের উপর কড়া নজরও রাখা হয়েছিল। সন্দেহজনক মনে হলে করা হচ্ছিল তল্লাশিও। এমন এক তল্লাশির সময়েই বনগাঁর বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে পাঁচজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তাদের বাড়ি নদিয়ায়। তাদের কাছ থেকে পাঁচটি ব্লুটুথ ডিভাইস আটক করেছে পুলিশ। বনগাঁ থানায় এনে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেড কোয়ার্টার) রূপান্তর সেনগুপ্ত ও বনগাঁর এসডিপিও অনিল রায় তাদের জেরা করেন। তাঁরাও এমন ডিভাইস দেখে অবাক। এর মাধ্যমে পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষাকেন্দ্রের বাইরের ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারে। এবং অনায়াসেই অজানা প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে পারে।
ওই ডিভাইস নিয়ে ধরা পড়া এক যুবক পুলিশকে জানিয়েছে, কৃষ্ণনগর থেকে ৪ হাজার টাকা দিয়ে সে ওটি কিনেছিল। ইউটিউব দেখেই ডিভাইসটির খোঁজ পেয়েছিল বলে সে পুলিশকে জানিয়েছে।
এ ছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে আরও তিন পরীক্ষার্থীকে এ দিন গ্রেফতার করা হয়েছে। গাইঘাটা থানার পুলিশ এক ভুয়ো পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে। এ ক্ষেত্রে ভাইয়ের হয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছিল তার দাদা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy