Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

১৭ পুরসভার ভোট কবে, প্রশ্ন কমিশনের

কয়েক দিনের মধ্যেই রাজ্যের ১১টি পুরসভায় নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হবে। আর আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে আরও ছ’টি পুর বোর্ডের মেয়াদ। কিন্তু ওই সব পুরসভায় ভোট কবে হবে, রাজ্য সরকার সেই বিষয়ে টুঁ শব্দ করছে না।

প্রদীপ্তকান্তি ঘোষ
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৪:৩১
Share: Save:

কয়েক দিনের মধ্যেই রাজ্যের ১১টি পুরসভায় নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হবে। আর আগামী তিন মাসের মধ্যে শেষ হবে আরও ছ’টি পুর বোর্ডের মেয়াদ। কিন্তু ওই সব পুরসভায় ভোট কবে হবে, রাজ্য সরকার সেই বিষয়ে টুঁ শব্দ করছে না। এই পরিস্থিতিতে ১৭টি পুরসভার ভোটের দিনক্ষণ জানতে চেয়ে সরকারকে চিঠি দিলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার অমরেন্দ্রকুমার সিংহ।

আগামী অক্টোবরে পানিহাটি, বর্ধমান, বালুরঘাট, ডায়মন্ড হারবার, হাবড়া-সহ ১১টি পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ শেষ হবে। হাওড়া, কৃষ্ণনগর-সহ পাঁচ পুরসভার বোর্ডের মেয়াদ রয়েছে ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর নভেম্বরে মেয়াদ ফুরোবে গুসকরা পুর বোর্ডের। সূত্রের খবর, এই সব পুরসভার মেয়াদের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে কয়েক দিন আগে রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়েছেন কমিশনার। ওই সব পুরসভায় ভোট কবে হবে, সরকারকে তা জানাতে বলেছেন তিনি। আইন অনুযায়ী পুরভোটের দিনক্ষণ স্থির করে কমিশনকে জানায় সরকারই।

মঙ্গলবার ১৪টি পুরসভার ওয়ার্ড সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাসের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বালুরঘাট ও কৃষ্ণনগর পুরসভায়। হাওড়ায় অবশ্য সেই কাজ এগোয়নি। কারণ, এক সময় হাওড়া পুরসভায় ৫০ ওয়ার্ড থাকলেও পরে তার সঙ্গে বালির ১৬টি ওয়ার্ড যুক্ত হয়। তাই ওয়ার্ডের ক্রমপর্যায় ঠিক নেই। সেগুলির পরিবর্তন প্রয়োজন বলে মনে করে কমিশন। তা জানিয়ে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে চিঠি দিয়েছিল তারা। এই বিষয়ে হাওড়া পুরসভার মতামত জানতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কারণ, পুরসভার মতামত জেনেই সিদ্ধান্ত নেবে কমিশন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হাওড়া পুরসভার তরফে ওয়ার্ডের ক্রমপর্যায় নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরকে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার তাঁর চিঠিতে এই বিষয়টিও আলাদা ভাবে উল্লেখ করেছেন বলে খবর।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, হাওড়ায় ওয়ার্ড পুনর্বিন্যাস নিয়ে এখনও শাসক দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব মেটেনি। সেই জন্য পুরসভার ক্রমপর্যায় চূড়ান্ত করার বিষয়টি থমকে রয়েছে। ভোট নিয়ে রাজ্য সরকারের নীরবতার পিছনে অবশ্য রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলে রাজনীতির কারবারিদের একাংশের অভিমত। তাঁদের মতে, কয়েকটি পুরসভা এলাকায় স্থানীয় রাজনীতির ভারসাম্যে কিছুটা শক্তির হেরফের ঘটিয়েছেন বিরোধীরা। তার ছাপ পুরভোটে পড়লে লোকসভা নির্বাচনের আগে এলাকায় শাসক দলের ‘চাপ’ বাড়তে পারে। সেটা মাথায় রেখেই রাজ্য সরকার ১৭টি পুরসভার ভোট নিয়ে আপাতত ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহলের একাংশের অভিমত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Vote Municipality Corporation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE