Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

পরিযায়ীদের মড়ক, জলে কি বিষ

কয়েক দিন আগে মহানন্দায় ভেসে উঠেছিল মরা মাছ। নদীতে বিষ মেশানো হয়েছে কি না, এই প্রশ্নে তোলপাড় হয়েছিল শিলিগুড়ি। এ বার ‘আক্রান্ত’ জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া রাখালদেবী জলাশয়।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:২৫
Share: Save:

কয়েক দিন আগে মহানন্দায় ভেসে উঠেছিল মরা মাছ। নদীতে বিষ মেশানো হয়েছে কি না, এই প্রশ্নে তোলপাড় হয়েছিল শিলিগুড়ি। এ বার ‘আক্রান্ত’ জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া রাখালদেবী জলাশয়। এখানে মৃত্যু হয়েছে বেশ কিছু পরিযায়ী পাখির। স্থানীয়দের অভিযোগ, মাছ ধরতে বিষ মেশানো হতে পারে। তার ফলেই মারা যেতে পারে পাখিগুলি। উদ্বিগ্ন পরিবেশপ্রেমীরা।

বন দফতরের কর্মীরা জলের নমুনা সংগ্রহ করেছেন। কয়েক বছর ধরে বালিহাঁস, বুড়িহাঁস, সরাল প্রজাতির পরিযায়ী পাখি আসছে রাখালদেবী এলাকায়। এখানে পাশাপাশি তিনটি জলাশয় রয়েছে। মঙ্গলবার সকালে জলাশয়ের পড়ে ছিল বেশ কয়েকটি মরা পাখি।
স্থানীয়রা জানান, লিজে ভাড়া নিয়ে ওই জলাশয়ে মাছ চাষ হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, রবিবার রাতে কেউ লুকিয়ে মাছ ধরার জন্য জলাশয়ের এক কোণে বিষ দেয়। তার জেরেই পরিযায়ী পাখিদের মৃত্যু হয়েছে।

বন দফতরের যে দলটি এ দিন নমুনা সংগ্রহ করেছে, প্রাথমিক তদন্তের পরে তাদের বক্তব্য, সম্ভবত পুরো জলাশয়ে বিষ ছড়ায়নি। তা হলে মাছের মড়কের আশঙ্কা ছিল। তবে যে কোণে পাখির দল বেশি ঘোরাফেরা করত, সেখানেই বিষ দেওয়া হয়েছে।
এ দিন যে সব পাখিকে ঝিমোতে দেখা গিয়েছে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বন দফতর। পরিবেশপ্রেমী একটি সংগঠনের সম্পাদক রাজা রাউত বলেন, “যে এলাকায় পরিযায়ীরা আসে সেখানে নজরদারি বাড়ানো হোক। এমন হলে পাখিরা সামনের বছর আর থেকে আসবে না।”

জলপাইগুড়ি বন্যপ্রাণী বিভাগদের সহকারী ডিএফও বাদল দেবনাথ বলেন, “জলের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট না পেলে বিষেই মৃত্যু কি না, বলা যাবে না।’’ রাতেও জলাশয়ে নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বন দফতর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Environment Weather River
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE