Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

শান্তি চাই, মোর্চার চাপ বাড়িয়ে মিরিকে মিছিল

এই মিছিলের পরেই কার্শিয়াঙে বেশ কিছু দোকানপাট খোলে। মূলত ওষুধের দোকান। অনেক ব্যবসায়ীও মিছিলে সামিল হন।

হাতে সাদা পতাকা, প্লাকার্ড, ফেস্টুন। মাথায় সাদা ফেট্টি। সবতেই নেপালি অথবা ইংরেজিতে ‘শান্তি’র বার্তা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

হাতে সাদা পতাকা, প্লাকার্ড, ফেস্টুন। মাথায় সাদা ফেট্টি। সবতেই নেপালি অথবা ইংরেজিতে ‘শান্তি’র বার্তা। ছবি: বিশ্বরূপ বসাক।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কার্শিয়াং শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১৬:৩৮
Share: Save:

মিরিক পুরসভার সামনে থেকে মিছিলটা যখন বেরোয়, তখন দুপুর প্রায় একটা। হাজার আটেক মানুষের সেই মিছিলের দাবি একটাই, ‘পাহাড়ে শান্তি চাই’। কোনও দলীয় পতাকা নেই। হাতে সাদা পতাকা, প্লাকার্ড, ফেস্টুন। মাথায় সাদা ফেট্টি। সবতেই নেপালি অথবা ইংরেজিতে ‘শান্তি’র বার্তা।

সোমবার দুপুরের ওই মিছিল মিরিক পুরসভার সামনে থেকে বেরিয়ে মিরিক বাইপাস, কৃষ্ণনগর হয়ে মিরিক বাজারে তা শেষ হয়। অসংখ্য সাধারণ মানুষের সঙ্গে ওই মিছিলে তৃণমূলের প্রচুর কর্মী-সমর্থক ছিলেন। ছিলেন মিরিক পুরসভার চেয়ারম্যান লালবাহাদুর রাই এবং মিরিকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি অনিল ছেত্রী। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘ইচ্ছা করলে এখনই মিরিক খুলিয়ে দিতে পারি। কিন্তু তাতে অশান্তি হবে। আমরা তা চাই না।

আরও পড়ুন: হৃদরোগে মৃত্যু তৃণমূল সাংসদ সুলতান আহমেদের

শান্তি ও উন্নয়নের জন্য মহা মিছিল করছে স্থানীয় মানুষ। ১০ হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।’’ এ দিনের মিছিলে স্বপ্না দাহাল, বীনা ছেত্রীর মতো চা বাগানের কর্মীরাও সামিল হন। গত তিন মাসের দুর্দশার কথা জানিয়ে পাহাড়কে দ্রুত স্বাভাবিক করার আর্জি জানান তাঁরা।

অশান্তি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ।

এই মিছিলের পরেই কার্শিয়াঙে বেশ কিছু দোকানপাট খোলে। মূলত ওষুধের দোকান। অনেক ব্যবসায়ীও মিছিলে সামিল হন। তাঁদের কথায়, ‘‘আমরাও দোকানপাট খুলতে চাই। কিন্তু, রাস্তায় লোকজন না থাকলে আমাদের দোকানে যে কেউ চড়াও হতে পারে। ভয়ের জায়গা থেকেই দোকান খুলতে পারছি না।’’ এ দিনের মিছিলকে ঘিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল চোখে পড়ার মচো। মিছিলেন সামনে এবং পিছনে মোতায়েন করা হয়েছিল প্রচুর পুলিশ বাহিনী। সঙ্গে কম্যান্ডো বাহিনীও ছিল।

আরও পড়ুন: ‘খোঁজ নিন নবান্নে কে ফোন করেছিল?’

এ দিন গোটা এলাকায় মোর্চার নেতা-কর্মীদের দেখা মেলেনি। শহর থেকে প্রায় সাত কিলোমিটার নীচে সৌরনি বাজারে মোর্চা কর্মীরা ঘণ্টা খানেক ধরে একটি মিছিল করেন।

কার্শিয়াঙ শহরের এই ছবির পাশাপাশি এ দিন পানিঘাটাকে বেশ স্বাভাবিক হতে দেখা গিয়েছে। সেখানে সব দোকানই খুলেছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE