Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

রাণুর সঙ্গে দেখা করতে এলেন মেয়ে

চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সাথী রায় বেগোপাড়ার বাড়িতে এসে দেখা করে গেলেন রাণু মারিয়া মণ্ডলের সঙ্গে।

মেয়ে সাথী রায়ের সঙ্গে রাণু। নিজস্ব চিত্র

মেয়ে সাথী রায়ের সঙ্গে রাণু। নিজস্ব চিত্র

সৌমিত্র সিকদার
রানাঘাট শেষ আপডেট: ০৫ অগস্ট ২০১৯ ০৪:৪৩
Share: Save:

কথা রাখলেন রাণুর মেয়ে।

শনিবার মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়ে মেয়ে জানিয়েছিলেন, খুব শিগগির মায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসবেন।

চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে সাথী রায় বেগোপাড়ার বাড়িতে এসে দেখা করে গেলেন রাণু মারিয়া মণ্ডলের সঙ্গে।

রবিবার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে বীরভূমের সিউড়ি থেকে রানাঘাট বেগোপাড়ায় বাড়িতে মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তিনি। প্রথমে সাথী ওই এলাকার অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। তার পর এসে মায়ের সঙ্গে দেখা করেন।

এ দিন মা-মেয়ের দীর্ঘ ক্ষণ কথা হয়। এরই মাঝে এলাকার মানুষজনের সঙ্গেও কথা বলেছেন সাথী। এত দিন মায়ের পাশে থাকার জন্য তাঁদের সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

এ দিন মেয়েকে এত দিন পর দেখতে পেয়ে খুশি হয়ে যান রাণু। দেখা মাত্রই একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন। ছলছল চোখে রাণু জানতে চান, ‘‘তুই কেমন আছিস? বাড়ির সবাই কেমন আছে?’’

প্রতিবেশিরা জানাচ্ছেন, প্রায় বছর দশেক পর দু’জনকে একসঙ্গে দেখা গেল এই বাড়িতে। শুধু এত দিন পরে দেখা হওয়াই নয়, রবিবার মা-মেয়ে এক সঙ্গে গানও গেয়েছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা অমিতা মণ্ডল বলেন, “এ দিন প্রথম রাণুদির মেয়েকে দেখলাম। গত কয়েক দিন থেকে শুনছি রাণুদি ভাল গান করেন। আজ দেখলাম ওঁর মেয়েও গলাও খুব ভাল। মা-মেয়ে যখন এক সঙ্গে বসে গান গাইছিল, দেখে খুব ভাল লাগল।”

সাথী জানান, এ দিন মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পেরে তাঁর খুবই ভাল লেগেছে। তিনি বলেন, ‘‘ভাষায় বোঝাতে পারব না! যত দূর মনে পড়ছে, আট-দশ বছর পর মায়ের সঙ্গে দেখা হল।’’

এত দিন পরে কেন দেখা করতে এলেন সাথী? এই প্রশ্নের উত্তরে তাঁর জবাব, ‘‘এলাকার মানুষ জনের কাছ থেকে মায়ের গানের বিষয়ে খবর পেলাম। শুনলাম, মায়ের গানের ভিডিয়ো খুব প্রশংসা পেয়েছে। তাই দেখা করতে এসেছি।”

একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, সাঁইথিয়ায় তাঁর বিয়ে হয়েছিল। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার পর তিনি এখন সিউড়িতে থাকেন। একটি ছোট মুদির দোকান চালান সাথী। ছোট ছেলেকে নিয়ে বিভিন্ন ভাবে এত দিন ব্যাতিব্যস্ত ছিলেন। তাই মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা হয়নি।

প্রতিবেশী তপন দাসের ফোনেই শনিবার কথা হয় মা-মেয়ের। তিনি বলেন, “মায়ের সঙ্গে মেয়ের দেখা করাতে অনেক চেষ্টা করেছিলাম। আজ সার্থক হয়েছি। সাথী আজ এখানেই থাকবেন।’’ তপন আরও জানিয়েছেন, রাণুর কোনও সরকারি পরিচয়পত্র নেই। সেই বিষয়ে প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলতে সাথীকে সঙ্গে নিয়েই যাবেন।

সম্প্রতি রাণুর গানের একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। তার পরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে তাঁকে গান গাওয়ানোর জন্য যোগাযোগ করা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Ranaghat Ranu Maria Mondal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE