Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

লাইসেন্স জাল, ধৃত বেপরোয়া বাসচালক

বর্ষশেষের রাতে শুধু বেপরোয়া বাস চালানো বা জোরে ব্রেক কষাই নয়। ব্রেক কষার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়া অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ভাই যাতে পুলিশে খবর দিতে না-পারেন, সেই জন্য বাসের চালক ও কন্ডাক্টর তাঁকে বাধা দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ।

শিবাজী দে সরকার
শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৯ ০২:৩৫
Share: Save:

বর্ষশেষের রাতে শুধু বেপরোয়া বাস চালানো বা জোরে ব্রেক কষাই নয়। ব্রেক কষার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়া অন্তঃসত্ত্বা মহিলার ভাই যাতে পুলিশে খবর দিতে না-পারেন, সেই জন্য বাসের চালক ও কন্ডাক্টর তাঁকে বাধা দিয়েছিলেন বলেও অভিযোগ। অসুস্থ যাত্রীর পরিবারের সঙ্গে তো বটেই, পুলিশের সঙ্গেও অসহযোগিতা করেন চালক। অভিযোগ, ঘটনার পরে তিনি ভুয়ো ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিয়েছিলেন ট্র্যাফিক পুলিশের কাছে। মহম্মদ সাবির নামে ওই বাসচালককে পরে গ্রেফতার করা হয়েছে।

মাম্পি হালদার নামে নোনাডাঙার এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলা সোমবার রাতে ধর্মতলা থেকে ২৪এ/১ রুটের একটি বেসরকারি বাসে উঠেছিলেন। সঙ্গে ছিলেন তাঁর ভাই। অভিযোগ, বেপরোয়া গতিতে বাস চালাচ্ছিলেন সাবির। পার্ক সার্কাস চার নম্বর সেতুর আগে তিনি হঠাৎ ব্রেক কষায় পড়ে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন মাম্পিদেবী। বাস থামাতে বলা সত্ত্বেও চালক শোনেননি। এক যাত্রী পুলিশে ফোন করে সব জানানোর চেষ্টা করেন। তিনি যাতে ফোনে কথা বলতে না-পারেন, সেই জন্য চালক মিউজ়িক সিস্টেমের শব্দমাত্রা বাড়িয়ে দেন।

চালকের অভিসন্ধি অবশ্য সফল হয়নি। ওই যাত্রী ১০০ নম্বরে ডায়াল করে লালবাজার কন্ট্রোল রুমে পুরো বিষয়টি জানান। লালবাজার তা জানায় থেকে ওই এলাকার ট্র্যাফিক গার্ডকে। তিলজলা ট্র্যাফিক গার্ডের সার্জেন্ট দেবজ্যোতি পাল ওই যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে ধাওয়া করে গিয়ে উত্তর পঞ্চান্নগ্রামে বাসটিকে আটকান। পৌঁছে যান ওই গার্ডের অতিরিক্ত ওসি সৌভিক চক্রবর্তীও। পুলিশ অফিসারেরা ইএম বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাম্পিদেবীকে ভর্তি করিয়ে দেন। চিকিৎসকেরা জানান, ওই মহিলা সুস্থ আছেন। ভাল আছে তাঁর গর্ভস্থ সন্তানও। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পুলিশি সূত্রের খবর, সাবিরের বিরুদ্ধে বেপরোয়া ভাবে বাস চালানোর অভিযোগ নতুন নয়। নিয়ম ভাঙায় এর আগে পার্ক সার্কাস এলাকায় তাঁর ড্রাইভিং লাইলেন্স বাজেয়াপ্ত করা হয়। জরিমানা দিয়ে সেটি ছাড়াননি সাবির। একটি ভুয়ো লাইসেন্স জোগাড় করে বাস চালাচ্ছিলেন। সোমবারের ঘটনার পরে তিনি পালিয়ে যান। পরে ধরা পড়েন। তখনই তাঁর ভুয়ো লাইসেন্সের বিষয়টি জানা যায়। এক তদন্তকারী অফিসার জানান, চালকের লাইসেন্স বাতিল করার কথা ভাবা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE