অধ্যাপক-বিজ্ঞানী দীপঙ্কর চক্রবর্তী
ভূগর্ভস্থ জলে আর্সেনিকের প্রকোপ নিয়ে তাঁর গবেষণা পরিবেশচর্চায় নতুন দিক খুলে দিয়েছিল।
সেই অধ্যাপক-বিজ্ঞানী দীপঙ্কর চক্রবর্তী প্রয়াত হয়েছেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের জেরে বুধবার রাতে তাঁকে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতেই মৃত্যু হয় তাঁর। বয়স হয়েছিল ৭৫। তাঁর স্ত্রী ও মেয়ে আছেন। বৃহস্পতিবার তাঁর মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় দীর্ঘদিনের কর্মস্থল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার পরে বাড়ি হয়ে কেওড়াতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রসায়নে স্নাতকোত্তর পাঠ এবং পিএইচডি শেষ করে সেখানেই শিক্ষকতা শুরু করেন দীপঙ্করবাবু। পরে উচ্চতর গবেষণার জন্য পাড়ি দেন বিদেশে। বছর পনেরো
বিদেশে কাটিয়ে ফিরে আসেন যাদবপুরেই। সেই সময়েই প্রথম জানা যায়, রাজ্যে থাবা বসিয়েছে আর্সেনিক। এই নিয়ে চর্চা শুরু করেন দীপঙ্করবাবু। কী ভাবে গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা অববাহিকায় আর্সেনিক-বিষের মোকাবিলা করা যায়, আমৃত্যু
তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল সেটাই। বিশ্বের দরবারেও এই বিপদের কথা পৌঁছে দেন তিনি। ২০০৮-এ অবসরের পরেও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়েই যুক্ত ছিলেন।
ভূগর্ভের জল ছাড়াও এখন কৃষি, খাদ্যশৃঙ্খলে আর্সেনিকের দাপট নিয়ে চলছে গবেষণা। এই সময়ে দীপঙ্করবাবুর প্রয়াণ অপূরণীয় ক্ষতি বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁর ছাত্র এবং বর্তমানে স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল স্টাডিজের অধিকর্তা তড়িৎ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘স্যরের অসমাপ্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy