রাজ্যে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে ত্রুটি থাকছে বলে অভিযোগ শাসক ও বিরোধী— দুই পক্ষেরই। তৃণমূল এবং সিপিএম— দুই দলেরই অভিযোগ, নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় যথেষ্ট ত্রুটি রয়ে গিয়েছে।
বস্তুত, বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কালীঘাটে শুক্রবার তৃণমূলের বৈঠকে মমতা ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন। দলীয় সূত্রের খবর, মমতা মনে করছেন,
কেন্দ্রীয় সরকার বা বিজেপি
আর কোনও ভাবে হালে পানি পাচ্ছে না। তাই শেষ পর্যন্ত ভোটার তালিকায় কারচুপি করে বাঁচার চেষ্টা করছে তারা! এই প্রেক্ষিতে মমতা এ দিন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দলীয় বিধায়কদের নিয়ে আলোচনায় বসার নির্দেশে দিয়েছেন। আগামী সোমবার পার্থবাবু সেই বৈঠক করবেন।
তৃণমূলের পাশাপাশি সিপিএমও এ দিন ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ জানাতে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সুনীল গুপ্তের দ্বারস্থ হয়েছে।
মমতা এ দিন দলীয় বৈঠকে বলেন, সামনে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে ভোটার তালিকা সম্পূর্ণ ত্রুটিমুক্ত করতে এখন
থেকেই দলের জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব নিতে হবে। জনপ্রতিনিধিরা নিজের নিজের এলাকার সংশোধিত ভোটার তালিকা খুঁটিয়ে দেখবেন, কোথাও কোনও ভোটারের নাম বাদ পড়েছে কি না।
বৈঠকের পরে পার্থবাবু বলেন, ‘‘সম্প্রতি যে ভোটার তালিকা বেরিয়েছে, সেটা ত্রুটিপূর্ণ। কোনও রাজনৈতিক দলকে না জানিয়ে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকা বিভ্রান্তি তৈরি করছে। আমাদের সব জনপ্রতিনিধিকে ভোটার তালিকা ত্রুটিহীন করতে বলা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রতিনিধিরা ভোটার তালিকার ত্রুটি বিষয়ে ইতিমধ্যেই কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছেন।
রবীন দেবের নেতৃত্বে সিপিএমের প্রতিনিধিরা এ দিন কমিশনে গিয়ে সুনীলবাবুর কাছে অভিযোগ করেন, ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ চললেও ঘোষণা মতো কমিশনের ভোটার স্লিপ ভোটারদের কাছে পৌঁছচ্ছে না। ফলে ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম বাদ পড়ল কি না কিংবা খসড়া তালিকায় প্রকাশিত ভোটারের নথিতে কোনও ভুল থেকে গেল কি না, তা ভোটাররা তা জানতে পারছেন না। কমিশনের বুথ স্তরের আধিকারিকদেরও বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বুথে পাওয়া যাচ্ছে না।
পরে রবীনবাবু অভিযোগ করেন, কমিশন গত ৭ সেপ্টেম্বর যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে এত দিন তালিকায় থাকা বহু ভোটারের নামই
বাদ পড়েছে। একই পরিবারের সদস্যদের ক্রমিক নম্বর এমন ভাবে বদল করা হয়েছে, যে নাম খুঁজে পেতে অসুবিধা হচ্ছে। রবীনবাবু বলেন, ‘‘কারও নাম যাতে তালিকায় একাধিক জায়গায় না থাকে, তা নিশ্চিত করতে
হবে। এলাকা ছেড়ে যাওয়া ভোটারদের নাম তালিকা থেকে বাদ দিতে হবে। যোগ্য প্রতিটি মানুষের নাম ভোটার তালিকায় তুলতে হবে।’’ বিজেপি-ও ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ নিয়ে প্রতিটি জেলার দলীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে নির্দিষ্ট অভিযোগ জানতে চেয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy