গেগং আপাং, হেমন্ত সোরেন এবং বাবুলাল মারান্ডি। ফাইল চিত্র।
ব্রিগেড সমাবেশে সম্ভাব্য নেতাদের তালিকায় নাম যোগ হচ্ছে রোজই। বুধবারের খবর, আসবেন অরুণাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গেগং আপাং। বেশ কয়েক দফা সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। কংগ্রেস ছেড়ে কিছুদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বুধবার তিনি বিজেপি ছেড়েছেন। শিবু সোরেনের ছেলে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, ঝাড়খণ্ডেরই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মরান্ডিও আসবেন বলে তৃণমূল সূত্রে খবর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন আরও জানিয়েছেন, এই রাজ্য থেকে রাজ্যসভার সাংসদ কংগ্রেসের অভিষেক মনু সিঙ্ঘভি ব্রিগেডের সভায় উপস্থিত থাকবেন। কংগ্রেস হাইকম্যান্ড আনুষ্ঠানিক ভাবে লোকসভায় দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গেকে পাঠাচ্ছেন। কিন্তু অভিষেকের উপস্থিতি একটি বাড়তি মাত্রা যোগ করতে পারে। কারণ তিনি মূলত তৃণমূলের ভোটেই রাজ্যসভায় কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন।
অসম থেকে কয়েকশো লোক শনিবারের সমাবেশে যোগ দেবেন বলেও দলের দাবি। বিশেষ করে বাঙালি অধ্যুষিত কাছাড় থেকে অনেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমাবেশে আসবেন বলে খবর। মিজোরামের বিরোধী দলনেতা লালডুহোমাও আসছেন ব্রিগেডের সভায়। তৃণমূলের উত্তর-পূর্বের অন্যতম পর্যবেক্ষক তথা মিজোরামের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট-জেনারেল বিশ্বজিৎ দেব এ কথা জানান।
আরও পডু়ন: দলত্যাগীরা ব্রিগেডে, অস্বস্তিতে কংগ্রেস
সমাবেশে যোগ দিতে সাধারণ মানুষের আসা শুরু হবে আজ, বৃহস্পতিবার থেকে। উত্তরবঙ্গ এবং দূরের জেলাগুলি থেকে ট্রেন, বাসে লোক কলকাতায় এসে ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, যুবভারতী স্টেডিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মশালায় থাকবেন বলে তৃণমূল সূত্রের খবর। সমাবেশের দু’দিন আগে আজ মমতা নিজে ঘুরে দেখবেন ব্রিগেড। ড্রোন ক্যামেরা সমাবেশে নজরদারি চালাবে বলে কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে। ১২টি বিভিন্ন জায়গা থেকে মিছিল আসবে পুলিশের নজরদারিতে। সেই সঙ্গে ব্রিগেড জনসভার আশপাশের বহুতল থেকে থাকবে পুলিশের নজরদারি। থাকবে কয়েকটি ওয়াচ-টাওয়ার। সমাবেশের চূড়ান্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ব্রিগেড সমাবেশকে কেন্দ্র করে একটা উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। সব ধরনের মানুষের মধ্যেই একটা সাড়া পাওয়া যাচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy