গরুমারায় কুকুর নিয়ে বন দফতরের কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
ফের গরুমারার গভীর জঙ্গলে ঢুকে গন্ডার মেরে খড়্গ কেটে নিয়ে পালাল চোরাশিকারিরা। মঙ্গলবার সকালে গরুমারা জঙ্গলের কোর এলাকা থেকে সেই খড়্গহীন পূর্ণবয়স্ক গন্ডারটির দেহ উদ্ধার হয়েছে। বনকর্মীরাই গন্ডারটিকে দেখতে পান। বন দফতরের অনুমান, সোমবার গভীর রাতে অথবা মঙ্গলবার ভোরে মারা হয়েছে গন্ডারটিকে। তার গায়ে গুলির চিহ্ন রয়েছে। বনকর্মীদের দাবি, শীতের রাতে জঙ্গলে গুলি চললে শব্দ শোনা যেত। সাইলেন্সার লাগানো আধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র থেকে গুলি করা হতে পারে।
মূর্তি নদীর পুবে জলঢাকা নদীর চরে পাওয়া যায় গন্ডারটির দেহ। বনকর্মীদের অনুমান, সেটি ওখানে ঘাস খেতে এসেছিল। এই এলাকার আশেপাশে বনবস্তিও নেই। পালানোর সুবিধের জন্যই চোরাশিকারিরা জায়গাটা বেছেছে বলে বনকর্মীদের ধারণা। গরুমারার কিছু এলাকায় ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হলেও এখানে নেই। দুপুরে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন।
ডুয়ার্স থেকে নেপাল, ভুটান, সিকিম ও অসমের সীমান্তপথে কড়া নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়। শিলিগুড়ি কমিশনারেট, দার্জিলিং, কালিম্পং জেলা পুলিশ, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার জেলা পুলিশকেও খবর দেওয়া হয়। পুলিশের আশা, খড়্গটি উদ্ধার হতে পারে। জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার অমিতাভ মাইতি বলেন, “জেলা জুড়ে নাকা তল্লাশি হয়েছে। চোরাশিকারিরা এখনও খড়গ নিয়ে বেশি দূর যেতে পারেনি বলেই মনে হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy