প্রতীকী ছবি।
ধান বিক্রিতে ফড়েদের দাপট কমাতে খাদ্যমন্ত্রী ও খাদ্যসচিবের কাছে নতুন প্রস্তাব দিল চালকল মালিকদের সংগঠন। বর্তমানে সরকারি ধান ক্রয় কেন্দ্রগুলিতে কোনও চাষি এক সঙ্গে ৯০ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারেন। চালকল মালিকেরা চান, কোনও চাষি এক দফায় সর্বাধিক ৪৫ কুইন্টাল ধান বিক্রি করুন। তা হলে অনেক বেশি সংখ্যক ছোট চাষি ধান বিক্রি করতে পারবেন এবং ফড়েদের দাপটও ঠেকানো যাবে বলে মনে করেন চালকল মালিকেরা।
শনিবার চালকল মালিকদের সংগঠন বেঙ্গল রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং খাদ্যসচিব মনোজ আগরওয়াল। সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেক বলেন, ‘‘কোনও চাষি একলপ্তে ৯০ কুইন্টালের বদলে ৪৫ কুইন্টাল ধান বিক্রি করতে পারবেন— এমন নিয়ম চালু হলে দেখা যাবে, অনেক বেশি সংখ্যক চাষি সরকারকে চাল বিক্রি করছেন।’’
চালকল মালিকদের বক্তব্য, কোনও ছোট চাষি লরি ভাড়া করে ৯০ কুইন্টাল ধান ক্যাম্পে আনছেন না। ফড়েরা কম দামে চাষিদের ঘরে গিয়ে ধান কিনে সরকারি ক্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসছে। ফলে আসলে মার খাচ্ছেন সেই ছোট চাষিরাই।
দফতর সূত্রের খবর, খাদ্যমন্ত্রী বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছেন। জঙ্গলমহলের চার জেলা, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের ১২টি ব্লকে কোনও চালকল নেই। সেখানে খাদ্য দফতর সরাসরি চাষিদের বাড়ি গিয়ে ধান কিনবে বলেও মন্ত্রী বৈঠকে জানিয়েছেন।
খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, নভেম্বর মাস থেকে ২১টি জেলায় সরকারি উদ্যোগে চাষিদের থেকে সরাসরি ধান কেনা শুরু হয়েছে। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৩ লক্ষ ৫৬ হাজার মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা ৫২ লক্ষ মেট্রিক টন। এর জন্য সরকারের খরচ হবে ৪,৬৪৬ কোটি টাকা।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যে ১,২৩৫টি চালকলের মধ্যে ১,০১৫টি চালু রয়েছে। ১৫টি চালকলের বিরুদ্ধে সিআইডি মামলা করেছে। ধান নিয়েও সরকারকে চাল না দেওয়ার কয়েকটি ঘটনার তদন্ত চলছে।’’ দফতরের এক কর্তা জানান, বাড়ি থেকে সরকারি ক্যাম্পে ধান আনার জন্য চাষিদের উৎসাহ ভাতা বাবদ কুইন্টাল প্রতি বাড়তি ২০ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy