Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

ভর্তুকি-জটে চালকল চিঠি দিল মুখ্যমন্ত্রীকে

মালিকেরা জানাচ্ছেন, আধুনিক চালকল গড়লে ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের কাছ থেকে বিদ্যুৎ-মাসুল, যন্ত্রপাতির দাম ও ব্যাঙ্ক-ঋণের সুদের উপরে ভর্তুকি পাওয়ার কথা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০১৮ ০৩:১৬
Share: Save:

ক্ষুদ্র শিল্প ক্ষেত্রে কেউ নতুন প্রকল্প গড়লে ভর্তুকি দেয় রাজ্য সরকার।

কিন্তু অনেক সময়েই নানা কারণে ভর্তুকি আটকে যাচ্ছে বহু সংস্থার। যেমনটি হয়েছে বেশ কিছু চালকলের ক্ষেত্রে। বছরখানেক আগে ব্যাঙ্ক-ঋণ নিয়ে আধুনিক চালকল গড়েও ২৫টি চালকলের মালিকেরা ভর্তুকি পাননি। বিভিন্ন জায়গায় দরবার করেও সুরাহা না-হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বারস্থ হয়েছে মালিক সংগঠন ‘রাজ্য চালকল সমিতি’।

মালিকেরা জানাচ্ছেন, আধুনিক চালকল গড়লে ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের কাছ থেকে বিদ্যুৎ-মাসুল, যন্ত্রপাতির দাম ও ব্যাঙ্ক-ঋণের সুদের উপরে ভর্তুকি পাওয়ার কথা। কিন্তু সরকারের কাছে প্রতিটি সংস্থার গড়ে ৪৫-৭৫ লক্ষ টাকা ভর্তুকি বকেয়া থাকলেও কেউ কোনও টাকা পায়নি। ‘‘অনেক জায়গায় দৌড়োদৌড়ি করার পরেও লাভ না-হওয়ায় আমরা শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীকেই আমাদের ভর্তুকি-সমস্যার কথা জানিয়ে চিঠি লিখেছি,’’ বলেন চালকল সমিতির কার্যনির্বাহী সভাপতি আব্দুল মালেক। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চালকল-মালিকদের দাবি, হিমঘরগুলি অনেক কম দামে বিদ্যুৎ পায়। তাঁদের কাছ থেকেও সেই হারে বিদ্যুতের মাসুল নেওয়া হোক।

রাজ্যে খাতায়-কলমে ১২০০ চালকল থাকলেও চাল উৎপাদন হয় প্রায় ৭৬০টি মিলে। বাকিগুলির অধিকাংশই ব্যাঙ্কের ঋণ শোধ করতে না-পারায় বা অন্যান্য কারণে বন্ধ। মন্ত্রিসভার অনুমোদনে চালকলগুলি খাদ্য দফতরের অধীন। তাদের সুপারিশ অনুযায়ী নতুন চালকল প্রকল্পে ভর্তুকি দেয় ক্ষুদ্র শিল্প দফতর।

সরকারি নিয়ম অনুযায়ী আদিবাসী এলাকায় নতুন চালকল বসালে ৭৫ লক্ষ (সঙ্গে পাঁচ লক্ষ অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা) এবং সাধারণ বসত-এলাকায় ৪৫ লক্ষ (অতিরিক্ত পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক সুবিধা) টাকা ভর্তুকি দেওয়ার নীতি আছে। ক্ষুদ্র শিল্প দফতরের এক কর্তা জানাচ্ছেন, ভর্তুকির পদ্ধতি এখন অনেক সরল। খুব দ্রুত তা দেওয়া হয়। ওই চালকল প্রকল্পগুলি কেন এখনও পর্যন্ত ভর্তুকি পায়নি, সেটা খোঁজ নিয়ে দেখা হবে। খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বক্তব্য, যে-সব চালকল এখনও ভর্তুকি পায়নি, তারা আর্থিক সুবিধা পাওয়ার নিয়মনীতি মানার ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কিছু ভুল করেছে বলেই জটিলতা তৈরি হয়েছে। ‘‘আমরা এখন ওই সব জটিলতা কাটিয়ে ভর্তুকি দেওয়ার ব্যবস্থা পাকা করার চেষ্টা চালাচ্ছি,’’ বলেন খাদ্যমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE