১৮২: ট্রেনের মহিলা কামরায় হেল্প লাইনের প্রচার। —নিজস্ব চিত্র।
যাত্রী সুরক্ষায় রেলের হেল্প লাইন ১৮২ চালু হয়েছে বহু আগেই। এ বার তাকে আরও জনপ্রিয় করে তুলতে স্কুল-কলেজে যাচ্ছেন রেলওয়ে সুরক্ষা বাহিনীর (আরপিএফ) কর্তা ও কর্মীরা। কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে বিশেষত ছাত্রীদের তাঁরা বোঝাবেন, চলন্ত ট্রেনে সুরক্ষা ছাড়াও আরও কত কারণে ওই নম্বরের প্রয়োজন। নিজের মোবাইল থেকে কী ভাবে ব্যবহার করতে হবে নম্বরটি, শিখিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটিও।।
চলন্ত ট্রেনে মহিলা যাত্রীরা বারবার আক্রান্ত হওয়ায় উদ্বিগ্ন রেল মন্ত্রক ২০১৫-১৬-য় গোটা দেশে ওই বিশেষ হেল্প লাইন নম্বরটি চালু করে। যাত্রীরা যে কোনও ফোন থেকে ওই নম্বরে অভিযোগ জানালে সঙ্গে সঙ্গে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা করবে রেল— দাবি কর্তাদের। তাঁরা জানান, ১৮২ নম্বরে ফোন এলে শুধু সুরক্ষার ব্যবস্থা করাই নয়, এখন যাত্রীদের অন্যান্য সমস্যা প্রতিকারের চেষ্টা হচ্ছে।
কী রকম? পূর্ব রেলের দাবি, ২০১৬-য় সুরক্ষা চেয়ে এই নম্বরে ফোন এসেছিল ৩৯৭টি। আবার, এ বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি অমৃতসর এক্সপ্রেসের বি-২ কামরার এক যাত্রী তাঁর শিশু পুত্রের জন্য দুধ পাওয়া যাচ্ছে না বলে সাহায্য চান ফোনে। আরপিএফের কর্মীরা দুধের ব্যবস্থা করেন।
এমন ফোন ২০১৫ সালে তিনটি, ২০১৬ সালে ১৪টি পেয়েছে আরপিএফ। গত ৬ মাসে এমন ফোন হয়েছে ৯টি। প্রতিটি ফোনেই চিকিৎসা পরিষেবা চাওয়া হয়। রেল কর্তাদের দাবি, প্রতিটি ক্ষেত্রেই যাত্রীদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ অধিকারিক জানান, নম্বরটির প্রয়োজনীয়তা বোঝাতে আরপিএফ এখন স্কুল-কলেজে যাচ্ছে, সেমিনার করছে, লিফলেট বিলিও করছে।
২৪ ঘণ্টার এই হেল্প লাইনে যাত্রীরা ফোন করলে জিপিএস প্রযুক্তির মাধ্যমে তা আরপিএফ-এর কাছে পৌঁছে যায়। তারা বুঝতে পারে, কোন ট্রেনের কোন কামরা থেকে ফোনটা এসেছে। সঙ্গে সঙ্গে কাছাকাছি স্টেশন থেকে আরপিএফ কর্মীরা সেই কামরায় পৌঁছে সংশ্লিষ্ট যাত্রীর সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy