কাস্টমস অফিসারদের বিরুদ্ধে কলকাতা বিমানবন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন জনৈকা রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়। হরিশ মুখার্জি রোডের বাসিন্দা বলে জানালেও রুজিরা অবশ্য অভিযোগপত্রে তাঁর স্বামী বা বাবার নাম লেখেননি। তবে অনেকে মনে করছেন, তিনি তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী হতে পারেন।
অভিযোগপত্রে রুজিরা লিখেছেন, ১৫/১৬ মার্চের রাতে ব্যাঙ্কক থেকে কলকাতা নেমে বিমানবন্দর থেকে বেরনোর সময় তাঁকে হেনস্থা করেছেন কাস্টমস অফিসারেরা। তাঁর থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে। কাস্টমস অফিসারদের আচরণে তাঁর মর্যাদাহানি হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।
২৩ মার্চ, শনিবার জমা পড়া অভিযোগটি (কেস নম্বর-৩৫/২০১৯) নিয়ে বিমানবন্দর থানা এ দিনই ব্যারাকপুর আদালতে পাঠিয়ে দিয়েছে। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে কাস্টমস অফিসারদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪১, ৩৮৪, ৫০৬, ৫০৯, ১২০বি এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে পুলিশের একাংশের দাবি।
আরও পড়ুন: দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এই সূত্রেই সামনে এসেছে আর একটি অভিযোগপত্রের বয়ান। সেটির তারিখ ২২ মার্চ। লেখা হয়েছে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককে উদ্দেশ্য করে। লেখক হিসেবে নাম রয়েছে কাস্টমসের এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার এস কে বিশ্বাসের। যদিও চিঠিটিতে কারও সই নেই বা থানায় গৃহীত হওয়ার ‘রিসিভড’ ছাপও নেই।
ওই চিঠিতে লেখা রয়েছে: গত ১৫/১৬ মার্চের রাতে থাই এয়ারওয়েজের টিজি-৩১৩ নম্বর বিমানে কলকাতা নেমেছিলেন রুজিরা নারুলা ও মেনকা গম্ভীর নামে দুই মহিলা। তাঁরা ‘গ্রিন চ্যানেল’ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন। সন্দেহ হওয়ায় কাস্টমস আধিকারিকেরা তাঁদের তিনটি ব্যাগ দেখতে চান। তাঁরা দেখাতে অস্বীকার করে ফোনাফোনি শুরু করেন। এর পরেই পুলিশ এসে হাজির হয়। পুলিশ এসে জানায় রুজিরা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী। তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হোক। কাস্টমস অফিসাররা তাঁদের গ্রিন চ্যানেল থেকে চার নম্বর কাউন্টারের রেড চ্যানেলে নিয়ে আসেন। একটি ব্যাগের মধ্যে সোনা পাওয়া যায়। কিন্তু রুজিরাকে না-ছাড়লে কাস্টমস অফিসারদের গ্রেফতার করার হুমকি দেয় পুলিশ। শেষ পর্যন্ত সে দিন রাত ২টোর পর ছাড়া পেয়ে বাড়ি যান রুজিরা। এই ঘটনার কথা জানিয়ে বিধাননগর থানার পুলিশকে এফআইআর
দায়ের করার কথা লেখা হয়েছে ওই চিঠিতে। যদিও চিঠিটির সত্যাসত্য সম্পর্কে কাস্টমস বা বিধাননগর পুলিশ কিছুই জানায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy