বিধাননগরের মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। ছবি: সংগৃহীত।
সাধ্য থাকলে তাড়ানো হোক তাঁকে—এই মন্তব্য করে দলের সঙ্গে তাঁর ‘সম্পর্ক’ নিয়ে নতুন জল্পনা সামনে আনলেন বিধাননগরের মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। সব্যসাচীর এই মন্তব্যকে আমল না দিয়ে আপাতত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার কৌশল নিল তৃণমূল।
দল আর রাজনীতি নিয়ে বিভিন্ন সময় হেঁয়ালি করে বিতর্কে জড়িয়েছেন বিধাননগরের মেয়র তথা রাজারহাট নিউটাউনের বিধায়ক। বারবারই তাতে তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা দানা বেঁধেছে। সম্প্রতি দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুল রায়কে নিজের বাড়িতে লুচি-আলুরদম খাইয়ে সেই জল্পনায় বিশেষ মাত্রা যোগ করেছিলেন বিধাননগরের মেয়র। তবে এদিন কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতিতে বিধাননগরের পুর-বৈঠক বাতিল হওয়ার পরে হেঁয়ালি ছেড়ে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছেন দলীয় নেতৃত্বকে। তিনি এদিন বলেন, ‘‘আমাকে তাড়িয়ে দেখাতে পারলে বুঝব দম আছে।’’ তৃণমূল অবশ্য এখনি এ নিয়ে ‘সংঘাতে’ নারাজ। দলের জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘না, না। যে আছে দলে তাঁকে তাড়াতে যাবে কেন?’’
৪১ সদস্যের বিধাননগর পুরসভার এ দিনের বৈঠকে ২৪ কাউন্সিলরের অনুপস্থিতি ঘিরেই এই টানাপড়েনের সূত্রপাত। চেয়ারপার্সন-সহ ১৭ জন কাউন্সিলরের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিক ভাবে বৈঠক বসলেও সেখানে আলোচনা কিছু হয়নি। বরং প্রকাশ্যেই তাঁদের অনেকে মেয়র পদে সব্যসাচীর প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন। সব্যসাচীর বিরোধীগোষ্ঠীর নেতা হিসাবে পরিচিত ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘লোকসভা নির্বাচনে তিনি কাজ করেননি। দলের শৃঙ্খলাবিরোধী কাজ করেছেন। তাই মেয়রের উপর আমাদের আস্থা নেই।’’ অনুপস্থিত কাউন্সিলরদের ‘আমাদের’ হিসাবে চিহ্নিত করলেও এদিনের বৈঠকেই কেন তাঁরা অনাস্থা জানাননি? তাপসবাবু অবশ্য বলেন, ‘‘ঘরোয়া সমস্যা বাইরে আনতে চাইনি।’’
বৈঠকে কাউন্সিলরদের অনুপস্থিতির কারণ বুঝলেও তা এড়িয়ে গিয়েছেন সব্যসাচী। উল্টে বিরোধীদের ‘দম’ দেখানোর চ্যালেঞ্জ করেছেন। এই বৈঠক ঘিরে তৈরি সমস্যা মেটাতে বিকেল থেকেই মাঠে নেমে পড়েন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। সব পক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন তিনিও।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy