প্রতীকী ছবি।
মোর্চা ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে শনিবার দল ছেড়েছিলেন। আর রবিবারই পাহাড়ের নিয়োগ নিয়ে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করলেন সমশের আলি। বিনয়পন্থী মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য ছিলেন সমশের। দলের সংখ্যালঘু নেতা হিসাবে নামডাক ছিল তাঁর। এদিন সমশের বলেন, ‘‘গত তিন বছরে পাহাড়ে কোন কোন ক্ষেত্রে কত জন নিয়োগ হয়েছেন, কারা চাকরি পেয়েছেন, তাদের যোগ্যতা কী, সব জানতে চেয়ে আমি তথ্য জানার অধিকার আইনে চিঠি পাঠাচ্ছি। সোমবার সকালেই জিটিএর প্রধান সচিব ও রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছে চিঠি পাঠিয়ে দেব। নিয়ম ভেঙ্গে নিয়োগের কিছু তথ্য আমি জোগাড় করেছি। বাকি তথ্য পেলেই আইনি পদক্ষেপ করব।’’ সমশেরের অভিযোগের সরাসরি কোনও উত্তর না দিলেও জিটিএর প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাং বলেন, ‘‘আমরা যা করেছি সব আইন মেনেই করেছি। আইনের বাইরে কোনও কাজ করা হয়নি।’’
মোর্চা নেতাদের একাংশের মতে মেয়ের চাকরি নিয়ে ক্ষোভের জেরেই দল ছেড়েছেন সমশের। মোর্চা সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছু দিন আগে একটি সরকারি চাকরির ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন সমশেরের মেয়ে। তবে সেই চাকরি তাঁর হয়নি। মেয়ের চাকরি না হওয়ায় দলের ভিতরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সমশের। ওই প্রসঙ্গে সমশের বলেন, ‘‘আমার মেয়ে বিদেশ থেকে পড়াশোনা করে এসেছে। একটি সরকারি চাকরির ইন্টারভিউতে ডেকে তাকে কার্যত অপমান করা হয়েছে। তার যোগ্যতা সম্পর্কিত কোনও কথাই জিজ্ঞাসা করা হয়নি। মাত্র দুই মিনিটেই ইন্টারভিউ শেষ করে দেওয়া হয়েছে। আরও একাধিক চাকরিপ্রার্থীর সঙ্গে একই আচরণ করা হয়েছে। ওই ঘটনা থেকে স্পষ্ট হয়েছে আগে থেকেই প্রার্থী ঠিক করে লোক দেখাতে ইন্টাররভিউ নেওয়া হয়েছিল।’’
যদিও শুধুমাত্র সেই কারণেই তিনি দল ছেড়েছেন, তেমনটা মানতে নারাজ সমশের। তবে সমশেরের অভিযোগকে হাতিয়ার করে বিনয়দের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে পাহাড়ের বিরোধী দলগুলি। সিপিআরএমের প্রবক্তা রত্ন বাহাদুর রাই বলেন, ‘‘যিনি অভিযোগ তুলেছেন তিনি এতদিন মোর্চার নীতি নির্ধারণকারীদের একজন ছিলেন। তাই তাঁর অভিযোগেই বোঝা যাচ্ছে কী পরিমাণ দূর্নীতি হয়েছে। আমরা উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত দাবি করছি।’’ জিএনএলএফের সাধারণ সম্পাদক মহেন্দ্র ছেত্রী বলেন, ‘‘আমরা আগে থেকেই বলছিলাম জিটিএতে দুর্নীতি হচ্ছে। অভিযোগের যথাযথ তদন্ত হওয়া জরুরি।’’ সিপিএম নেতা তথা দার্জিলিংয়ের প্রাক্তন সাংসদ সমন পাঠক বলেন, ‘‘এ বার বিরোধীরা নয়, খোদ মোর্চার ভিতর থেকেই অভিযোগ উঠেছে। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হওয়া দরকার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy