Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
পর পর চন্দন চুরির জের

এক ধাক্কায় আট রক্ষীকে সরিয়ে দিল বিশ্বভারতী

বারবার চন্দনগাছ চুরির ঘটনা অস্বস্তিতে ফেলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে বেসরকারি নিরাপত্তা বিভাগের আট কর্মীকে বরখাস্ত করা হল।

ফাঁক গলে। শান্তিনিকেতনে তোলা নিজস্ব চিত্র।

ফাঁক গলে। শান্তিনিকেতনে তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ২০ নভেম্বর ২০১৫ ০২:২২
Share: Save:

বারবার চন্দনগাছ চুরির ঘটনা অস্বস্তিতে ফেলেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে বেসরকারি নিরাপত্তা বিভাগের আট কর্মীকে বরখাস্ত করা হল। কিন্তু ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ভেদ করে একের পর এক চুরির ঘটনায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা শীর্ষ আধিকারিকেরা দায় এড়াতে পারেন কি না তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।

বৃহস্পতিবার লালবাঁধ এলাকার ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে ওই এলাকায় আলোর ব্যবস্থা করা হয়। এ ছাড়াও শ্রীনিকেতনের অধিকর্তা অধ্যাপিকা সবুজকলি সেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে বিশ্বভারতীর তরফে জানানো হয়েছে। এই কমিটির সুপারিশ মেনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। অন্যদিকে, সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে ওই নিরাপত্তা কর্মীদের পুনর্বহালের আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল প্রভাবিত নিরাপত্তারক্ষীদের একটি সংগঠন।

প্রসঙ্গত, গত রবিবার বিশ্বভারতীর মালঞ্চ বাড়ি এবং ইঞ্জিনিয়ারিং স্টোর এলাকা থেকে এবং বুধবার রতনকুঠি এবং অনিল চন্দের শ্যামবাটি বাড়ি থেকে চুরি যায় চন্দনগাছ। বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে থাকা শতাধিক চন্দনগাছের ওপর নজরদারি নিয়ে অতীতে বিস্তর আলোচনা হয়েছে। অভিযোগ, তাতে কাজের কাজ আদপে কিছুই হয়নি। এ দিন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত কর্মসচিব মনিমুকুট মিত্রের নেতৃত্বে উপ-কর্মসচিব (সম্পত্তি) তথা ভারপ্রাপ্ত মুখ্য নিরাপত্তা আধিকারিক অশোক মাহাত ‌এবং নিরাপত্তা আধিকারিক সুপ্রিয় গঙ্গোপাধ্যায় নিরাপত্তা বিভাগের সুপারভাইজারদের নিয়ে বৈঠক করেন। বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, টহলদারি বাড়ানো, চন্দনগাছ এলাকা ধরে নিরাপত্তা কর্মী মোতয়েন এবং প্রতি রাতে পদস্থ আধিকারিকের উপস্থিতিতে টহলদারি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এই বৈঠকে। পাশাপাশি পুলিশ, নিরাপত্তা বিভাগ এবং বন দফতরের প্রতিনিধিদের নিয়ে উচ্চ-ক্ষমতা সম্পন্ন নিরাপত্তা কমিটি গঠনের কথা ভাবা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

বিশ্বভারতীর সহ-উপাচার্য স্বপন দত্ত বলেন, “২০ দিনের মধ্যে কমিটি রিপোর্ট জমা দেবে। সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে”। এদিকে চন্দনগাছ চুরির ঘটনায় গ্রেফতার তো দূরের কথা, এখনও পর্যন্ত কাউকে জিজ্ঞাসাবাদ অবধি করে উঠতে পারেনি পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE