প্রতীকী ছবি।
জমা-খরচের ভুয়ো হিসেব দেখানোর জন্য নকল সংস্থা চালানোর অভিযোগে সারদার ১৪১টি কোম্পানির পঞ্জিকরণ বাতিল করার আবেদন করল সিবিআই। প্রধানমন্ত্রী দফতরের অধীনে কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিবের নেতৃত্বে যে টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়েছে, সেখানেই এই সুপারিশ জানিয়েছে সিবিআইয়ের কলকাতা দফতর। টাস্ক ফোর্স এই সুপারিশ কার্যকর করলে সারদার ওই সব সংস্থার ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে আর্থিক অপরাধের বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনতে পারবে তদন্তকারী সংস্থা।
নোটবন্দির পর বেনামি সম্পত্তি উদ্ধারে ‘জমা-খরচি’ সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রীর দফতর কেন্দ্রীয় রাজস্ব সচিবের নেতৃত্বে একটি টাস্ক ফোর্স তৈরি করে দেয়। তার সদস্য করা হয় সিবিআই, এসএফআইও, সিবিডিটি, কেন্দ্রীয় শুল্ক বিভাগ এবং কোম্পানি বিষয়ক মন্ত্রকের কর্তাদের। ২০১৭-১৮ সালে সবমিলিয়ে ২ লক্ষ ২৬ হাজার জমা-খরচি সংস্থার পঞ্জিকরণ বাতিল করেছে টাস্ক ফোর্স। তাতে ৩ লক্ষ ৯ হাদার ৬১৯ জন ডিরেক্টরের নামও বাতিল করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে, ওই সংস্থা কালো টাকা সাদা করার খেলায় নকল বিনিয়োগ দেখিয়ে এক সংস্থার টাকা অন্য সংস্থায় সরিয়ে নিত। যে ২ লক্ষ ২৬ হাজার সংস্থার পঞ্জিকরণ বাতিল করা হয়েছে, তার বড় অংশ কলকাতা থেকে চলত বলে সূত্রের দাবি।
এক সিবিআই কর্তা জানান, সারদার বেশির ভাগ সংস্থা বেহালা ও সল্টলেকের দু’টি ঠিকানায় পঞ্জিকৃত। কলকাতা পুরসভা বেহালার একটি ঠিকানায় সারদার অজস্র সংস্থার ট্রে়ড লাইসেন্স দিয়েছিল। একই জিনিস হয়েছিল সল্টলেকের একটি ভাড়া নেওয়া অফিস থেকে। তদন্তকারীরা দেখেছেন, সারদার সংস্থাগুলির মাধ্যমে আমানতকারীদের টাকা সরানো হয়েছে। তার পর বিভিন্ন প্রভাবশালীও সেই টাকা ভোগ করেছেন। ডিরেক্টরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার পাশাপাশি ওই টাকার ভাগ নেওয়া প্রভাবশালীদেরও পাকড়াও করা সম্ভব হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy