কিছু দিন আগেই তাঁরা স্কুলের পাট চুকিয়ে এসেছেন। আবার তাঁদেরই বলা হচ্ছে: ‘স্কুলে যাও। স্কুলপড়ুয়াদের উদ্বুব্ধ করো। কার মধ্যে কোন প্রতিভা লুকিয়ে আছে, দিশা দেখাও তাদের’।
‘স্কুল কানেক্ট’ নামে এই প্রকল্প হাতে নিচ্ছে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (ম্যাকাউট)। এই প্রকল্পে নিজেদের ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটগুলির ছাত্রছাত্রীদেরই ফের স্কুলে পাঠাচ্ছে ম্যাকাউট।
রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ম্যাকাউটের অধীন কলেজগুলিকে তাদের এলাকার বেশ কয়েকটি স্কুলকে এই প্রকল্পে চিহ্নিত করতে বলা হবে। তার পরে কলেজের পড়ুয়ারা যাবেন সেই সব নির্দিষ্ট স্কুলে। ম্যাকাউটের উপাচার্য সৈকত মৈত্র জানান, কলেজের ছাত্রছাত্রীরা গিয়ে ওই পড়ুয়াদের নিয়ে ‘ওয়ার্কশপ’ বা কর্মশালা করবেন। মূল উদ্দেশ্য, স্কুলপড়ুয়াদের সৃষ্টিশীলতাকে উৎসাহ দেওয়া। তারা যা পারে, তাদের মধ্য থেকে সেটা বার করে আনা। আগামী দিনে স্কুলপড়ুয়ারা কোন পথে যেতে পারে, সেই বিষয়ে তাদের স্বচ্ছ ধারণা দেওয়া। ‘‘এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য ‘মোটিভেট, ইনস্পায়ার, অ্যাট্রাক্ট’। একেবারে স্কুল স্তর থেকে পড়ুয়াদের মধ্যে সুপ্ত প্রতিভাকে খুঁজে বার করার চেষ্টা চালানো হবে এই প্রকল্পে। ভবিষ্যতে তারা কী করতে পারে, তার দিশা দেখানো হবে,’’ বলেন উপাচার্য।
এই কাজ তো কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। তাঁদের বদলে কলেজের পড়ুয়াদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে কেন?
উপাচার্যের ব্যাখ্যা, কলেজের পড়ুয়ারা কিছু দিন আগেই স্কুল ছেড়ে এসেছেন। স্কুলপড়ুয়ারা তাঁদের সঙ্গে সহজে মিশতে পারবে। কয়েক বছরের বড় দাদা-দিদিদের কাছে মনের কথা বলতে তারা অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করবে। লাভ হবে ম্যাকাউটের অধীন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটগুলির ছাত্রছাত্রীদেরও। তাঁরা এর জন্য বিশেষ ক্রেডিট পাবেন। এই কাজের ভিত্তিতে ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ শিরোপা দেওয়ার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে জানালেন উপাচার্য। তাঁর মতে, শিল্প ক্ষেত্রের সঙ্গে যেমন কলেজ-পড়ুয়াদের যোগাযোগ থাকা উচিত। সেই জন্য পড়তে পড়তে ইন্টার্নশিপের ব্যবস্থা থাকে। তেমনই সমাজের অন্য দিকটাও ওঁদের বোঝা দরকার। এই প্রকল্পে ওঁরা সেই দিকটা বুঝবেন। ওঁরা যে-সব স্কুলে যাবেন, সেখানকার পড়ুয়ারাও কর্মশালায় যোগ দিয়ে উপকৃত হবে। স্কুলপড়ুয়াদের অনেকেই বোঝে না, স্কুলের শেষ পরীক্ষা পাশ করে তারা কোথায় যাবে, কী পড়বে। সেই সব বিষয়ে তা কলেজ-পড়ুয়াদের কাছ থেকে পাবে প্রয়োজনীয় পরামর্শ পাবে। খুব তাড়াতাড়িই এই প্রকল্প চালু করার উদ্যোগ চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy