Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
Visva-Bharati

হিমালয়ের কোলে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস

উত্তরাখণ্ড সরকার এই ক্যাম্পাসের জন্য জমি দিতেও প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে। এই ঘোষণায় খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রী, অধ্যাপক ও প্রাক্তনীদের মধ্যে। 

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিনিকেতন শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২০ ০৫:৩৭
Share: Save:

কাঠগোদাম স্টেশন থেকে ১৬ মাইল উতরাই পেরিয়ে নৈনিতাল সংলগ্ন ছোট্ট পাহাড়ি জনপদ রামগড়ে গড়ে উঠতে চলেছে বিশ্বভারতীর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। শান্তিনিকেতনের বাইরে এই প্রথম বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস তৈরি হতে চলেছে। ১০ জুন বিশ্বভারতীর কর্মসমিতির বৈঠকে এই ‘স্যাটেলাইট’ ক্যাম্পাস গড়ার বিষয়ে সিলমোহর দেওয়া হয়। ৮ জুলাই কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের বিষয়টি সরকারি ভাবে ঘোষণা করেন। সম্প্রতি এক ভিডিয়ো বার্তায় মন্ত্রী বলেছেন, “রামগড়ের ক্যাম্পাস খোলার সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছে।’’

উত্তরাখণ্ড সরকার এই ক্যাম্পাসের জন্য জমি দিতেও প্রস্তুত বলে জানা গিয়েছে। এই ঘোষণায় খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতনের আশ্রমিক, ছাত্র-ছাত্রী, অধ্যাপক ও প্রাক্তনীদের মধ্যে।

বিশ্বভারতীর রবীন্দ্র-অধ্যাপক মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলেন, “১৯১২ সালে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর রামগড়ে এক সাহেবের থেকে দশ হাজার টাকার বিনিময়ে ‘স্নো-ভিউ পয়েন্ট’ নামে বাগান-সহ বাংলো কেনেন। ১৯১৪ সালে রবীন্দ্রনাথ সেই বাড়ির নাম দেন ‘হৈমন্তী’। ‘গীতিমাল্যে’র শেষ দিকের গান এবং ‘বলাকা’র প্রথম দিকের বেশ কিছু কবিতা রামগড়ের বাড়িতে বসে লেখা। এমনকি ‘হৈমন্তী’ গল্পটিও লেখা এখানেই।’’ এই ‘হৈমন্তী’কে ঘিরেই নতুন ক্যাম্পাস গড়ে উঠবে বলে বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী হলে নতুন ক্যাম্পাস তৈরির প্রক্রিয়া গতি পায়। গবেষকেরা জানান, ১৯১৪ সালের মে মাসে পুত্রবধূ প্রতিমাদেবী, কন্যা মীরাদেবী, কবি অতুলপ্রসাদ সেন ও অন্যদের সঙ্গে রামগড়ে গিয়ে মাসখানেক কাটিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এখানেই লিখেছিলেন ‘এই লভিনু সঙ্গ তব’, ‘চরণ ধরিতে দিও গো আমারে’ ইত্যাদি গান। বলাকা কাব্যের প্রথম দিকের বেশ কিছু কবিতাও এখানে লেখা। একাধিক চিঠিতে রামগড় সম্পর্কে নিজের মুগ্ধতার কথাও জানিয়েছেন কবি।

বিশ্বভারতী সূত্রের খবর, হিমালয়ের কোলে এই নতুন ক্যাম্পাসে প্রাথমিক ভাবে ৬৫০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে গ্রাম পুনর্গঠন, গ্রাম উন্নয়ন এবং সমাজবিদ্যা বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। করোনার প্রকোপ কেটে গেলেই নতুন ক্যাম্পাসের শিলান্যাস হবে। প্রাথমিক পর্যায়ে বিশ্বভারতী থেকেই এক দল অধ্যাপক সেখানে গিয়ে পঠন-পাঠন শুরু করবেন বলেও খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Visva-Bharati Uttarakhand Visva-Bharati University
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE