Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

সচিবের কাজের বার্তা রদ পার্থের

উৎসবের মরসুমে রাজ্য সরকারের ছুটির ‘আধিক্য’ থেকে দফতরকে আলাদা করতে চেয়েছিলেন স্কুল শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন। চলতি সপ্তাহে ছুটির দু’দিন অন্তত একবেলা কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন দফতরের কর্মীদের। কিন্তু জানতে পেরে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করিয়ে নিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।

রবিশঙ্কর দত্ত 
শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৮ ০৪:৪০
Share: Save:

উৎসবের মরসুমে রাজ্য সরকারের ছুটির ‘আধিক্য’ থেকে দফতরকে আলাদা করতে চেয়েছিলেন স্কুল শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন। চলতি সপ্তাহে ছুটির দু’দিন অন্তত একবেলা কাজ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন দফতরের কর্মীদের। কিন্তু জানতে পেরে সেই নির্দেশ প্রত্যাহার করিয়ে নিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

মহালয়ার দিন থেকেই উৎসবের মরসুম শুরু হয়ে যায়। শারোদৎসবের মরসুম থেকে কার্যত লাগাতার ছুটি চলেছে ভাইফোঁটা পর্যন্ত। চলতি সপ্তাহেও আরও দু’দিন, আজ ২১ তারিখ ফতেহা দোয়াজ দহম ও ২৩ তারিখ গুরুনানকের জন্মদিনে রাজ্য সরকারি দফতরে ছুটি রয়েছে। এই অবস্থায় দফতরের জমে থাকা কাজ শেষ করার কথা জানিয়ে এই দু’দিন আংশিক সময় কাজের উদ্যোগ নিয়েছিলেন স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব। সেই লক্ষ্যেই একটি আবেদনও জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রী অবশ্য এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

মঙ্গলবার দফতরের আধিকারিকদের ‘হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ’-এ আজ বুধবার ও শুক্রবার কাজের প্রস্তাব দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলেছিলেন শিক্ষা সচিব। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের শিক্ষাবর্ষ যেহেতু জানুয়ারি মাসে শুরু হয়, তাই বছরের শেষ তিন মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং লম্বা ছুটির ফলে দফতরের প্রায় প্রতিটি কাজই নির্দিষ্ট সময়ের থেকে পিছিয়ে পড়েছে। সকলেই জানি, তা আমাদের দ্রুত শেষ করতে হবে।’ এই পরিস্থিতিতে স্কুল শিক্ষা দফতরের কর্মীদের দায়িত্ব মনে করিয়ে সচিবের আর্জি ছিল, ‘এখন আমাদের পড়ে থাকা সময় কাজে লাগিয়ে সেই কাজ শেষ করা উচিত।’

রাজ্যে ছুটির আধিক্য নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক মহলে সরকারি ছুটি নিয়ে সমালোচনাও চলছে বহুদিন ধরে। সচিবের ওই আর্জিতে তা স্পষ্ট। গ্রুপ-বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘দুর্গাপুজো ও কালীপুজো ইত্যাদিতে সরকার আমাদের যথেষ্ট ছুটি দিয়েছে। আমরা তা উপভোগ করেছি।’ এই বিশ্লেষণ জানিয়েই শিক্ষা সচিবের আর্জি, ‘এই দুটি ছুটির দিনে অন্তত অফিসের এক বেলা কাজ করে জমা কাজ শেষ করতে কর্মীরা নিজেদের দায়বদ্ধতা প্রমাণ করুন।’

সচিবের এই আগ্রহ বার্তা দফতরে ছড়িয়ে পড়ার পরেই অবশ্য আলোড়ন পড়ে যায়। বিভিন্ন স্তরে যাওয়া ওই ‘নোট শিট’ নিয়ে কর্মী সংগঠনেও গুঞ্জন শুরু হয়। তৃণমূল সমর্থক কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক দিব্যেন্দু রায় বলেন, ‘‘কোন পরিপ্রেক্ষিতে এইরকম নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানি না। সরকার বা মুখ্যমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত নিয়ে এই পদক্ষেপের কারণও অস্পষ্ট।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE