প্রতীকী ছবি।
প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে কলকাতা পুলিশের সব থানা এলাকায় হোটেল, সরাইখানা, অতিথিশালায় শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকেই বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। এ দিন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মার বৈঠকে ছিলেন সব থানার ওসি, এসি এবং ডিসি।
শহরের বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন সংলগ্ন হোটেল, সরাইখানা ও অতিথিশালায় যাঁরা উঠছেন, তাঁদের পরিচয়পত্র যাচাইয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে থানাগুলিকে। কোন কোন হোটেল, অতিথিশালা ও সরাইখানায় অভিযান চালানো হল, আজ, শনিবার সকালে তার রিপোর্ট দিতে হবে।
প্রজাতন্ত্র দিবসে রেড রোডের কুচকাওয়াজ বিঘ্নহীন করতে ওই রাস্তা সংলগ্ন অঞ্চলকে ১৮টি জ়োনে ভাগ করে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি জ়োনের নিরাপত্তার দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এক জন করে ডেপুটি কমিশনারকে। ওই ১৮টি জ়োনকে আবার ১২৫টি সেক্টর ভাগে করে সেখানে এক জন করে অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কাল, রবিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ১০টি ওয়াচটাওয়ার বা নজরমিনার থেকে নজরদারি চলবে। ১২টি মোটরসাইকেলে চেপে রেড রোড ও সংলগ্ন এলাকায় টহল দেবে পুলিশ।
আরও পড়ুন: এমপিএসের সম্পত্তি উধাও, ডিজির রিপোর্ট চাইল কোর্ট
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে প্রজাতন্ত্র দিবসে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ড্রোনের মাধ্যমেও গোটা রেড রোড ও সংলগ্ন এলাকায় নজরদারি চালানো হবে। লালবাজারের এক কর্তা জানান, নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে গঙ্গাবক্ষেও। ২৩ জানুয়ারি ভোর থেকেই জলপুলিশের কর্মী ও অফিসারেরা গঙ্গায় নজরদারি শুরু চালাচ্ছেন। জলপুলিশের কমবেশি ১০টি বাহিনী গঙ্গায় নজর রাখবে। বিশেষ নজরদারি চলবে মেট্রোয়, বিভিন্ন বহুতলেও। ডেপুটি কমিশনারদের পাশাপাশি রবিবার রেড রোডের নিরাপত্তার দায়িত্বে অন্তত চার হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন। অনুষ্ঠান-মঞ্চ সংলগ্ন এলাকায় থাকছে ৪০টি বালির বাঙ্কার, ছ’টি বুলেট নিরোধক খাঁচা। দর্শকদের জন্য একাধিক পুলিশি সহায়তা কেন্দ্র থাকবে বলে লালবাজার সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy