আইন অমান্য কর্মসূচিতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় এসএফআই-কর্মী সুদীপ্ত গুপ্তের।
ছ’বছর আগে ২ এপ্রিল বাম ছাত্রদের আইন অমান্য কর্মসূচিতে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পথে মৃত্যু হয় এসএফআই-কর্মী সুদীপ্ত গুপ্তের। পুলিশ জানিয়েছিল, সুদীপ্ত বাসে যাওয়ার সময় ঝুলছিলেন। সেই সময় বাতিস্তম্ভে ধাক্কা খেয়েই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও এসএফআই পুলিশের এই বক্তব্য মানতে চায়নি। কী ভাবে তাঁর মৃত্যু হল, সেই বিতর্ক রয়েই গিয়েছে। ঠিক কী ভাবে সুদীপ্তের মৃত্যু হয়, বিচার বিভাগীয় তদন্তের ব্যবস্থা করে তা জানার ও জানানোর দাবি আবার জানিয়েছে এসএফআই।
মঙ্গলবার সুদীপ্তের মৃত্যু দিবসে এসএফআইয়ের জমায়েতে ফের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান এসএফআইয়ের কর্মীরা। ওই সংগঠনের ছাত্রনেতাদের অভিযোগ, স্কুল-কলেজে গত কয়েক বছরে প্রচুর ফি বেড়েছে। ফি বৃদ্ধিতে রাশ টানতে হবে। প্রচুর স্কুল-কলেজে শিক্ষকপদ ফাঁকা আছে। সেগুলো অবিলম্বে পূরণ করতে হবে। সেই সঙ্গে সামনে লোকসভা ভোটে বামপন্থীদের সজাগ থাকার আর্জি জানান ছাত্রনেতারা। তাঁরা জানান, কেউ বুথ দখল করতে চাইলে সর্বশক্তি দিয়ে রুখতে হবে।
কলেজ স্ট্রিটে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এ দিনের বিক্ষোভ-সমাবেশে এসএফআই নেতা সৃজন ভট্টাচার্য দাবি করেন, কলেজ ক্যাম্পাসে সাত দিনের জন্য যদি গণতন্ত্র ফিরে আসে এবং সেই অবস্থায় যদি ভোট হয়, তা হলে কলেজ থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ (টিএমসিপি) ধুয়ে মুছে যাবে। ওই বিক্ষোভ-সমাবেশে যোগ দিয়ে বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীও একই সুরে বলেন, ‘‘এক দিনের জন্য কলেজে গণতন্ত্র ফিরলেই তৃণমূল ধুয়ে মুছে যাবে।’’
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
হাওড়া, শিয়ালদহ ও সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে এসএফআইয়ের মিছিল এসে কলেজ স্ট্রিটে জমায়েত হয়। সুজনবাবু বলেন, ‘‘বুধবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেডের মিটিংয়ে শ্রোতাদের জন্য হ্যাঙার তৈরি করেছে বিজেপি। কিন্তু শ্রোতা হবে খুবই কম। ড্রোন ক্যামেরা চালিয়েও কত শ্রোতা হল, কেউ যাতে তা ধরতে না-পারেন, তাই হ্যাঙারের ব্যবস্থা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy