Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

কেশপুর যেতে মানা শিউলিকে

দলীয় ‘নিষেধাজ্ঞা’ নিয়ে শিউলি বলেন, ‘‘আমার কিছু বলার নেই।’’ দলে অবশ্য বলা হচ্ছে,  শিউলির মতো প্রবাসী বিধায়ককে নিয়ে স্থানীয়স্তরে পঞ্চায়েতস ভোটের আগে গোলমাল এড়াতে এই সিদ্ধান্ত।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

রবিশঙ্কর দত্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৮ ০৫:২৫
Share: Save:

তৃণমূল বিধায়ক তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে গেলে অশান্তি বাঁধবে এলাকায়। সেই অছিলায় শিউলি সাহাকে কেশপুর যেতে বারণ করে দিল দল। ২০১৬ –র বিধানসভা নির্বাচনে শিউলি অবশ্য লক্ষাধিক ভোটে কেশপুর থেকে জিতেছিলেন।

দলীয় ‘নিষেধাজ্ঞা’ নিয়ে শিউলি বলেন, ‘‘আমার কিছু বলার নেই।’’ দলে অবশ্য বলা হচ্ছে, শিউলির মতো প্রবাসী বিধায়ককে নিয়ে স্থানীয়স্তরে পঞ্চায়েতস ভোটের আগে গোলমাল এড়াতে এই সিদ্ধান্ত। যদিও ইতিউতি কেউ কেউ এর মধ্যে ‘মুকুল-গন্ধ’ পাচ্ছেন। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি। সেখানে পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে শিউলিকে সুব্রতবাবু জানিয়ে দেন, ভোট পর্যন্ত তাঁর আর এলাকায় যাওয়ার দরকার নেই। দলের সর্বোচ্চস্তরে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কী কারণে তিনি এলাকায় ঢুকতে পারবেন না জানতে চেয়ে রাজ্য সভাপতির কাছে ভর্ৎসিত হন শিউলি।

গত ছ’ মাস ধরে তিনি অবশ্য কেশপুরে যাচ্ছেন না। তা হলে বিধায়ক কোটার টাকা কীভাবে খরচ হবে, এলাকার মানুষের সমস্যা নিয়ে কীভাবে তিনি দরবার করবেন—সে সব জানতে চান শিউলি। রাজ্য সভাপতি তার কোনও জুতসই জবাব না দেওয়ায় বৈঠকের মাঝেই তিনি কেঁদে ফেলেন বলেও দলীয় সূত্রে খবর।

২০১১-এ হলদিয়ার বিধায়ক হন শিউলি। জেলায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে ২০১৬ সালে তাঁকে সরানো হয় কেশপুরে। যদিও গোঁড়া থেকেই স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে তাঁর বনিবনা হয়নি। কেশপুরে তৃণমূলের কাজকর্ম এখন দেখভাল করছেন সঞ্জয় পান। দল তাঁকে দিয়েই পঞ্চায়েত ভোট করাতে চায় বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE