দলের মধ্যে ‘জাতিভেদ’-এর অপচেষ্টার অভিযোগে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির আট নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠালেন রাজ্য নেতৃত্ব। তাঁদের আপাতত কোনও দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতেও নিষেধ করা হয়েছে। অচিরেই তাঁদের বিরুদ্ধে নিলম্বন (সাসপেনশন)-এর মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হতে পারে বলে দলীয় সূত্রের খবর।
ওই আট নেতা— জলপাইগুড়ির সহ সভাপতি সুখদেব সরকার, জেলা সম্পাদক অনুপ পাল, তপন রায়, আগুন রায়, কৃষ্ণপদ সরকার, আশালতা বিশ্বাস, হরি বিশ্বাস এবং প্রদীপ তিরকি তফসিলি জাতিভুক্ত জেলা সভাপতি চেয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে চিঠি দেন। কয়েক জন ওই দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব হন। তাঁদের যুক্তি, জলপাইগুড়িতে তফসিলি জাতির মানুষ বেশি এবং দলেও তাঁরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ। কিন্তু বিজেপিরই একাংশের মতে, ওই আট জন জেলার প্রাক্তন সভাপতি দীপেন প্রামাণিকের ঘনিষ্ঠ। তাঁকে ফের জেলা সভাপতি করার জন্যই এই ‘তফসিলি তত্ত্ব’-এর উদ্ভাবন করা হয়েছে। দীপেনবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘আমি এ সব কিছুই জানি না।’’
বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব জলপাইগুড়ির ওই আট নেতার দাবিতে ‘জাতিভেদ’-এর অপচেষ্টা দেখছেন। দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘জাতিগত ভেদাভেদের মধ্য দিয়ে বিজেপিতে নেতৃত্বের নির্বাচন হয় না। দলে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। ওই নেতাদের কারণ দর্শানোর নোটিস পাঠানো হয়েছে।’’ অভিযুক্তদের তরফে তপনবাবু অবশ্য ওই অভিযোগ উড়িয়ে জানান, কারণ দর্শানোর চিঠির জবাবও তাঁরা দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy