Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Rain

ডুয়ার্সে বৃষ্টিতে ধস দুই সেতুতে, মৃত ২

রেল সেতু কবে ঠিক হবে, তা বলতে পারছেন না কর্তারা।

বিপদ: বাগরাকোটের কাছে লিস নদীর উপর ভেঙে পড়া রেল সেতু। মঙ্গলবার।

বিপদ: বাগরাকোটের কাছে লিস নদীর উপর ভেঙে পড়া রেল সেতু। মঙ্গলবার।

সব্যসাচী ঘোষ  
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৯ জুলাই ২০২০ ০২:৩৫
Share: Save:

প্রবল বৃষ্টিতে ডুয়ার্সের বাগরাকোটে এক রাতেই ধসে গেল সড়ক ও রেল সেতু। ফলে মালবাজার থেকে সেবক সেতু হয়ে শিলিগুড়ি যাতায়াত আপাতত বন্ধ। লিস নদীর উপরের রেল সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত।

মালবাজার ও সেবকের মাঝামাঝি জুরান্তি ঝোরার উপর সড়ক সেতু এবং লিস নদীর উপরে রেল সেতু আছে। সোমবার রাতে টানা বৃষ্টিতে ১৭ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর সেতু এবং লাগোয়া রেল সেতুটির একাংশ ধসে যায়। পুলিশের দাবি, রাতে ওই রাস্তা দিয়ে পরপর তিনটি পিকআপ ভ্যান যাচ্ছিল। প্রথমটি ধসে মধ্যে পড়ে যায়। চালক এবং খালাসির মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের নাম রাজু শেখ (৪০) এবং দেবরাজ সাহা (৩৫)। দু’জনেরই বাড়ি অসমের গোয়ালপাড়ায়। পুলিশের অনুমান, সেতুটি যে ধসে গিয়েছে, অন্ধকারে চালক খেয়াল করতে পারেননি। প্রশাসনের দাবি, দু’দিনের মধ্যে সড়ক সেতু দিয়ে মাঝারি ওজনের গাড়ি চলাচল শুরু করা যেতে পারে। তবে রেল সেতু কবে ঠিক হবে, তা বলতে পারছেন না কর্তারা।

কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় বাগরাকোটে ২৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ি ঝোরাতেও তীব্র স্রোত বইতে থাকে। স্রোতের ধাক্কায় সেতুটির প্রায় ২০ মিটার অংশ ধসে যায়। মালবাজারের মহকুমাশাসক শান্তনু বালা এলাকা পরিদর্শনের পরে বলেন, “সব ঠিক চললে বুধবারের মধ্যেই হাল্কা থেকে মাঝারি যান চলাচল শুরু হতে পারে।” ২০১২ এবং ২০১৬-তেও এই জুরান্তি ঝোরার সেতু ধসে গিয়েছিল। কেন বারবার এমন হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে এ দিন জলপাইগুড়ির রিজিওনাল ফরেনসিক ল্যাবরেটরি থেকে দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলও এলাকায় যায়।

লিস নদীর উপরে রেল সেতুটির কংক্রিটের কাঠামো ধসে গিয়েছে। ফলে লাইনের একটি অংশ ঝুলে আছে। যে ক’টি ট্রেন এই লাইন দিয়ে যেত, সেগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।

আমপানে ক্ষতিপূরণের টাকা নয়ছয়ের প্রতিবাদে এবং সকল ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের যথার্থ ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করার দাবিতে ঘটকপুকুর মোড়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করল ‘ইয়ং বেঙ্গল’। ভাঙড়ের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্ষতিগ্রস্তেরা মঙ্গলবার অবস্থানে এসেছিলেন। প্রসেনজিৎ বসুদের এই সংগঠনের বক্তব্য, ভাঙড়-১ ও ২ নম্বর ব্লক মিলিয়ে ৩০ হাজারের বেশি মানুষ ক্ষতিপূরণের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা সত্ত্বেও ক্ষতিপূরণ প্রাপকদের তালিকা ব্লক বা পঞ্চায়েত দফতরে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Rain Monsoon Dooars
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE