স্মরণসভায় নিহত সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রী রূপালী। —নিজস্ব চিত্র
নিহত তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের স্ত্রীকে রাজনীতিতে নামার আহ্বান জানালেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে চাকরি এবং তাঁদের পরিবারকে সব রকম সাহায্য দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
রবিবার কৃষ্ণনগর রবীন্দ্রভবনে ওই স্মরণসভায় পার্থ জানান, সত্যজিতের স্ত্রী রূপালী বিশ্বাস তো বটেই, নিহত নেতার দুই ভাইকেও চাকরি দেওয়া হবে। সত্যজিতের শিশু সন্তানের লেখাপড়ার সমস্ত খরচ বহনেরও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। তার নামে কিছু টাকা ব্যাঙ্কে ‘ফিক্সড ডিপোজিট’ করে দেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি হাঁসখালির ফুলবাড়ি গ্রামে বাড়ির পাশের মাঠে সরস্বতী পুজোর অনুষ্ঠান চলার সময়ে খুন হন নদিয়া জেলার যুব তৃণমূল সভাপতি সত্যজিৎ। ওয়ানশটার দিয়ে একেবারে কাছ থেকে তাঁকে গুলি করা হয়। হাতেনাতে কাউকে ধরা না গেলেও পরে চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা সকলেই বিজেপি নেতা-কর্মী বলে এলাকায় পরিচিত। যদিও মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ পুণ্ডারী এখনও অধরা। এত দিন পুলিশের পাশাপাশি সিআইডি-ও খোঁজখবর চালাচ্ছিল। এ দিন সরাসরি তারাই তদন্তভার নিয়েছে।
এ দিন স্মরণসভায় রূপালীর উদ্দেশে পার্থ বলেন, “আপনারা আমাদের তৃণমূল কংগ্রেস পরিবারের সদস্য। আপনার ত্যাগ না থাকলে সত্যজিৎ এত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে থাকতে পারত না। আপনার এই ত্যাগের কথা মনে রেখে আপনিও যদি রাজনীতিতে আসেন, কাজ করেন, তা হলে আমরা স্বাগত জানাব।”
স্মরণসভায় জেলার নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী এবং বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সভা শুরুর আগে কাশ্মীরে জঙ্গি হানায় নিহত জওয়ানদের বেদিতে মাল্যদান করেন নেতারা। পরে সকলের উপস্থিতিতে মহাসচিব রূপালীকে রাজনীতিতে আসার কথা বলায় সভা শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মধ্যে জল্পনা শুরু হয়, তা হলে কি রুপালীকে লোকসভা ভোটে প্রার্থী করার পরিকল্পনা হচ্ছে? সেই সম্ভাবনার কথা পুরোপুরি উড়িয়ে না দিয়ে পার্থ বলেন, “এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।” আর রুপালী বলেন, “এই মুহূর্তে এ সব নিয়ে ভাবতে পারছি না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy