যৌথ আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য বামেদের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রাথমিক কথাবার্তা শুরু হয়েছে। আনুষ্ঠানিক বৈঠকের আগে এই বিষয়ে লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীর সহযোগিতা চেয়ে চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। তাঁর পদমর্যাদা কাজে লাগিয়ে কংগ্রেস এবং সিপিএম, দু’দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গেই যাতে অধীরবাবু জোট-প্রক্রিয়া নিয়ে কথা বলেন, সেই অনুরোধই জানানো হয়েছে চিঠিতে।
দিল্লিতে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির সঙ্গে এক প্রস্ত কথা হয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেসের সমন্বয় কমিটির চেয়ারম্যান প্রদীপ ভট্টাচার্যের। ইয়েচুরি ইঙ্গিত দিয়েছেন, শীঘ্রই দু’দলের নেতারা আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসে যৌথ আন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করবেন। এরই মধ্যে অধীরবাবুকে পাঠানো চিঠিতে সোমেনবাবু যুক্তি দিয়েছেন, লোকসভায় বিরোধী দলের নেতা হওয়ার সুবাদে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বহরমপুরের সাংসদের যোগাযোগ এখন অনেক বেশি। বাংলায় বিজেপি এবং তৃণমূলের বিরুদ্ধে বামেদের সঙ্গে নিয়ে বিকল্প গড়ে তোলার জন্য কংগ্রেসের উদ্যোগের কথা হাইকম্যান্ডের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজ তিনি সহজে করতে পারবেন। প্রয়োজনে সিপিএম নেতৃত্বের সঙ্গেও কথা বলতে পারবেন। প্রদেশ কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথাও লোকসভার দলনেতাকে জানিয়ে দিয়েছেন প্রদেশ সভাপতি।
প্রদেশ কংগ্রেসের এক নেতার কথায়, ‘‘সিপিএমের সঙ্গে যৌথ আন্দোলনের আলোচনার প্রক্রিয়ায় খানিকটা গতি এসেছে। বাংলার নেতাদের মধ্যে এই প্রশ্নে যে বিরোধ নেই এবং সকলে একসঙ্গে চেষ্টা করছেন, এই বার্তা দিতেই লোকসভার দলনেতাকেও এই বিষয়ে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তাঁর পদের সুবাদেই তিনি এখন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে আরও ভাল সমন্বয় করতে পারবেন।’’ অধীরবাবুর মত, দল তাঁকে যে দায়িত্ব দেবে, তিনি তা-ই পালন করবেন।
সব জেলার সভাপতিদের নিয়ে ১৯ জুলাই বিধান ভবনে বৈঠক ডেকেছে কংগ্রেস। নির্দিষ্ট রূপরেখা বেঁধে দিয়ে আজ, সোমবারের মধ্যে সব জেলা সভাপতিকে সাংগঠনিক বিষয়ে রিপোর্ট পাঠাতে বলেছেন প্রদেশ সভাপতি। জেলা সভাপতিদের নিয়ে বৈঠকে এআইসিসি-র পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈ বা সহ-পর্যবেক্ষক বি পি সিংহের মধ্যে কেউ থাকবেন বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy